কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা মাজার গুঁড়িয়ে দিলো এলাকাবাসী। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়িতে গড়ে তুলা বুরহান উদ্দিন (রঃ) মাজার স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়। এসময় স্থানীয় গ্রামবাসীসহ পাশের এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘২০২১ সালে আব্দুল হামিদ নিজ বাড়িতে ভূয়া একটি মাজার তৈরি করলেও মাজারের প্রধান ফটকে লিখে রাখেন ২০০৪ সালে নির্মান করেন, মাজারে বিভিন্ন সময় অসামাজিক কার্যক্রম চলায় স্থানীয়রা ক্ষোব্ধ হয়ে ওঠে এবং প্রতিবাদ জানায়, পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগীতায় সামাজিক বৈঠক করে মাজারটি গুঁড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। এর আলোকে স্থানীয় মানুষজন মাজারটি গুঁড়িয়ে দেয়। এতে করে এলাকার যুব সমাজ নস্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল।’
ওই এলাকার কাজী ওমর ফারক নামে আরও একজন বলেন, ‘নারী পুরষরা এখানে এসে দিনের পর দিন অসামাজিক কার্যকলাপ করছে। এলাকার লোক বাঁধা দিলেও মাজারে মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কাজ বন্ধ না হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আজ এই মাজারটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বুলবুল আহমদ ওয়াতির জানান, ‘আব্দুল হামিদ এর স্ত্রী অসুস্থ। তখন সুস্থতার জন্য বিভিন্ন কবিরাজের কাছে স্ত্রীকে নিয়ে যান। তখন মনিরউদ্দিন ও বিলফারি হুজুর নামে ২জন ব্যক্তি নাকি আব্দুল হামিদকে বলেছেন এখানে মাজার তৈরী করলে তার স্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠবেন। তখন তিনি এখানে মাজার তৈরী করেন। আমরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাজার নির্মানের বিষয় নিয়ে আব্দুল হামিদের সাথে তার বাড়িতে বসি। বসার পর আব্দুল হামিদ ও তার আব্দুল হালিমকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর উনাদের নির্দেশে বুরহান উদ্দিন (রঃ) নামে ভূয়া মাজারটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।’
এবিষয়ে মাজার নির্মানকারী আব্দুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। আমরা ফুলতলী সাহেবের ছেলের অনুমতি নিয়ে সেখানে মাজার নির্মান করি। নির্মানের পরে আমার স্ত্রী সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু এই মাজার নির্মানের পর এখানে কোনো বাজে কাজ হয়নি। গত সোমবার রাতে স্থানীয়রা মিলে আমার মাজার ভেঙ্গে ফেলেন। মাজার ভেঙ্গে ফেলার পর থেকে আমার স্ত্রী আবার পাগলের মতো হয়ে গেছে।’