কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ১৭টি গাছ চোরি করে বিক্রি করেছেন স্কুলের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলী ও তার ছেলে শাহ আলম। গাছ কাটতে প্রধান শিক্ষক বাঁধা দিলে বাবা ও ছেলে বাঁধা উপেক্ষা করেন। তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আলোচনা করেন গাছ বিক্রি করে শহীদ মিনার নির্মাণ করবেন। কিন্তু বাস্তবে শহীদ মিনার নির্মান না করেই টাকা হাতিয়ে নেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ সুত্রে জানা যায় যে, গত ৫ই সেপ্টেম্বর ২৪ইং স্মারক নং- ৪৪০/২০২৪/নি.অফি/৪৪১ প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আসিদ আলী মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। সভাপতি দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিদ্যালয়ের কমিটির কোনো রেজ্যুলেশন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিংবা ইউএনও’র কোনো অনুমতি ছাড়াই তার ছেলে (শাহ আলম’)কে দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত শনিবার ৬ই জানুয়ারী ২৪ ইং সকালে আকাশিয়া, জামসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় আকৃতির ১৭টি গাছ কর্তন করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস সোবহান বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী বাবুল মাদ্রাজির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গাছ কাটার সংবাদ পান।
তিনি বলেন যে, খবর পেয়ে প্রাক্তন সভাপতিকে গাছ কাটা বন্ধ করতে তার বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করলে সভাপতি তা উপেক্ষা করেন। অভিযোগে আরো বলেন যে, প্রাক্তন সভাপতি আসিদ আলী বলেছেন, কমিটির সবাইকে ও প্রশাসনিক ভাবে অবহিত করা হবে। গাছ বিক্রির টাকা দিয়ে স্কুলে শহীদ মিনার নির্মান করার আশ্বাস দেন। তবে গাছ বিক্রির প্রায় নয় মাস অতিবাহিত হলে ও স্কুলে নগদ টাকা জমা কিংবা শহীদ মিনার নির্মান না করে আত্বসাৎ করেছেন।
গাছ কাটা ও টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন যে, ‘১৭টি গাছ বিক্রি করেছেন প্রাক্তন সভাপতি ও মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলী। বিক্রিকৃত গাছের টাকা এখনো জমা না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কমলগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে, ‘তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’