অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
জামায়াত শিবিরের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার আজ গেজেট প্রকাশ
বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিকবার জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উঠেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর স্বৈরাচার সরকারের পতনের প্রেক্ষিতে, অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে সংস্কারের প্রস্তাব করে, যার মধ্যে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বিষয়টিও উঠে আসে।
আজ (৪ঠা সেপ্টেম্বর) বুধবার, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী সংবিধানের সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানালে, এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর, খন্দকার মোশতাক আহমেদের সরকার কর্তৃক। তিনি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাদ দিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ অথবা ফররুখ আহমেদের ‘পাঞ্জেরী’ কবিতার কোনো একটি গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে প্রস্তাব করতে বলেন। তবে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ প্রস্তাব কার্যকর হয়নি।
এরপর ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে, ‘আমার সোনার বাংলা’ পরিবর্তন করে ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটিকে জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের একটি গোপন চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে ভারতের নাগরিক হিসেবে দেখিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হলে, এ উদ্যোগও থেমে যায়।
(২০০১-২০০৬) সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের তৃতীয় দফার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০২ সালে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের সুপারিশপত্র জমা দেন। এ প্রস্তাবটিও কার্যকর হয়নি।
তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশেও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন অপরিবর্তনীয় নয়। বিভিন্ন সময়ে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অন্য দেশগুলোও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করেছে, যেমন নেপাল,জার্মানি,দক্ষিণ আফ্রিকা,ইরাক ও আফগানিস্তান।
ছবি ও তথ্য সংগ্রহ।