অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
কমলগঞ্জে দু:স্থ ও দরিদ্র মানুষের মাঝে বিজিবি’র উদ্যোগে ইফতারসামগ্রী বিতরণ
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হচ্ছেন ব্রিটিশ নাগরিক জন টিনিসউড। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ১১৪ বছর বয়সী নাগরিক হুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ মোরার মৃত্যুর পর টিনিসউডই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ। ২০২৪ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি বিশ্বের যাবতীয় রেকর্ড নথিবদ্ধকারী সংস্থা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
টাইটানিক ডুবেছিল যে বছর, অর্থাৎ ১৯১২ সালের ২৬শে আগস্ট জন্ম হয়েছে জন টিনিসউডের। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত তার বয়স হয়েছে ১১১ বছর ২২৪ দিন। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পুরুষ হিসেবে তার অসাধারণ এ যাত্রা ইতোমধ্যেই অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
১১১ বছর বয়স হলেও জন টিনিসউড অন্যদের মতোই নিজে দৈনন্দিন কাজ নিজেই করতে পারেন। তিনি সকালে বিছানা থেকে উঠে রেডিওতে খবর শোনেন। এ ছাড়া নিজের অর্থ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করেন। জন টিনিসউডের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার দীর্ঘায়ুর রহস্য।
টিনিসউড জানান যে, তার ডায়েটে কোনো গোপন টোটকা নেই। এখনো প্রতি শুক্রবারে তিনি তার প্রিয় খাবার মাছ এবং চিপস উপভোগ করেন। এর বাইরে তিনি কোনো নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করতেন না। তার দীর্ঘায়ুকে ‘কেবল ভাগ্য’ হিসেবে দাবি করেছেন টিনিসউড।
টিনিসউড বর্তমানে সাউথপোর্টের একটি কেয়ার হোমে থাকেন। তার মতে, মনকে সতেজ রাখা এবং জীবনযাত্রায় সংযম দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি। জীবনকে স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য মাথায় কম চাপ নেওয়ার এবং মানুষের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন টিনিসউড। টিনিসউডকে ৪ এপ্রিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
তরুণ প্রজন্মের জন্য জনের উপদেশ হলো, ‘সব সময় চেষ্টা করবে নিজে নতুন কিছু শেখার এবং অন্যকে নতুন কিছু শেখানোর। তোমার যা আছে, তা দিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করো, না হলে তা সফল হবে না
ছবি ও তথ্য সংগ্রহ।