হবিগঞ্জ প্রতিনিধি::
কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ায় ৩দিন ব্যাপি ব্যনপ্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত করণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
হবিগঞ্জে র্যাব-৯ এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি চক্রের ৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে করেছে র্যাব-৯।
সাম্প্রতিক সময়ে হবিগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে সংঘবদ্ধ টিকেট কালোবাজারি চক্র অবৈধ ভাবে ট্রেনের টিকেট জনসাধারণের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনলাইনে ট্রেনের টিকেট সংকটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই চক্রগুলো বেশ সক্রিয়। তারা অনলাইনে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে টিকেট ক্রয় করে চড়া দামে সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করছে। এসকল কালোবাজারিদের গ্রেফতারে র্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৮শে মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ১০টা ৫ মিনিটের সময় হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর থানাধীন নোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ক্রয় করা বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও সময়ের ৪৫টি আসনের অনলাইন টিকেট, ৩টি মোবাইল ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ব্যক্তিরা- দাউদনগর গ্রামের মৃত শেখ মকছুক আলীর পুত্র শিপন চৌধুরী (৩১),
শায়েস্তাগঞ্জ থানার দক্ষিণ বড়চর গ্রামের মো: আব্দুল কাইয়ুম (৫৫), হবিগঞ্জ জেলার মাধনপুর থানার বুলাইয়া গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার পুত্র মো: জামাল মিয়া (৪২)।
র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এই টিকেট কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে।এ সব চক্রের অন্যান্য সদস্য যেকোন পর্যায়ের কালোবাজারির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তারা র্যাব জানায়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের পূর্বক আসামী ও জব্দকৃত আলামত শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।