1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
আওয়ামী লীগের ৩০ প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেয়েও হারালেন - আলোরদেশ২৪

আওয়ামী লীগের ৩০ প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেয়েও হারালেন

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১৯ বার দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::

কমলগঞ্জে অনুমতি ছাড়া ৪ শিক্ষক বিদেশ গেলেন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর হিসাবনিকাশ শেষে ৩৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকছেন না। এর মধ্যে ৩২ আসনে জোটের শরিক ও মিত্রদের জন্য ছেড়ে দিয়েছে দলটি। আর অন্য পাঁচটি আসনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যাচাই-বাছাইয়ে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় এই আসন গুলোতেও আওয়ামী লীগের কেউ থাকছে না।

তবে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সর্বমোট ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে দরকষাকষি শেষে গতকাল রোববার ৩২টি আসন থেকে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য ৬টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়, যারা নৌকা প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। আর অন্যদিকে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) জন্য ছেড়ে দেওয়া হয় ২৬টি আসন। এসব আসনে জাপার প্রার্থীরা ‘লাঙ্গল’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। এসব হিসাবনিকাশের মধ্য দিয়ে নৌকা পেয়েও হারালেন আওয়ামী লীগের ৩০ নেতা।

এ ৩২ আসনে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করায় অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগে। তবে এসব আসনে দলের প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র অনেকেই নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন। অনেকে অসন্তোষ থেকে জাপা ও শরিকদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলেও তাদের কথায় ফুটে উঠেছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আসন বণ্টনে কম ছাড় দেওয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ও মিত্রদের মধ্যেও। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মোট ১৬টি আসনে জোটের মনোনয়ন পেয়েছিল ১৪ দলের শরিকরা। এবার সংখ্যাটা একই রকম থাকবে বলে আশা করেছিলেন দলগুলোর নেতারা। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ন তারা। একইভাবে জাপাকে গতবারের চেয়ে তিনটি আসনে কম দেওয়ায় তাদেরও রয়েছে ক্ষোভ। গত নির্বাচনে ২৯টি আসনে ছাড় পেয়েছিল জাপা। এবার তাদের ২৬টি আসনে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে জাপার সঙ্গে যে ২৬ আসনে সমঝোতা হয়েছে সেগুলো হলো—ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২,

ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আগে থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না।

আর ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসন পেয়েছে। তাদের জন্য বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

তবে এসব আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, গত তিন নির্বাচনে একই আসনে বারবার ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আগে থেকেই ক্ষোভ আছে দলে। সংসদ সদস্য অন্য দলের হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্য হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষোভ থেকেই অনেককে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে উৎসাহিত করবে। অনেকে প্রকাশ্য না পারলেও গোপনে শরিক ও মিত্রদের বিপক্ষে কাজ করবে।

তবে ময়মনসিংহ-৮ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস সাত্তারকে বাদ দিয়ে আবারও ফখরুল ইমামকে জাপার প্রার্থী করায় এ আসনে অন্তর্ভুক্ত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফির উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মানুষ আশা করেছিল এবার হয়তো নৌকার প্রার্থীই থাকবে। কিন্তু নৌকার প্রার্থী ও তার ভাতিজার দ্বন্দ্বে এ আসনটি মিত্রদের জন্য ছেড়ে দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছে। তবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই।

বরিশাল-৩ আসনে সরদার মোঃ খালেদ হোসেনকে বাদ দিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে মনোনয়ন দেওয়ায় মুলাদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সুমন বলেন, দলের নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দলীয় প্রার্থী। তবে এতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা বিরাজ করছে।

গাইবান্ধা-২ আসনে মাহবুব আরা গিনির পরিবর্তে জাপার আব্দুর রশিদ সরকারে মনোনয়ন দেওয়ায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা কালবেলাকে বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাহার হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।

রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকার প্রার্থী করায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল তো বঞ্চিত হচ্ছেই। কেননা, এই আসনে আওয়ামী লীগের যে অবস্থান এবং যে কার্যক্রম তাতে অনেকেই এই আসনে ভোট করার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদের প্রার্থী হাসানুল হক ইনুর জন্য এই আসন ফাঁকা রাখার বিষয়ে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, আমরা আর ইনুর পক্ষে ভাড়া খাটতে চাই না। আমরা কামরুল আরেফিনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা তার পক্ষেই থাকব। কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার।

কুষ্টিয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ আর হাসানুল হক ইনুকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় না।

সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে বলেন যে, সাময়িক কষ্ট তো থাকবেই। তবে কোনো ক্ষোভ থাকবে না। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। কষ্ট ভুলে গিয়ে দলের সিদ্ধান্ত মেনে এক হয়ে কাজ করবেন তারা।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed