অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে পর্দা উঠলো মোস্তাক আহমেদ ফুটবল টুনার্মেন্ট ২০২৩
বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ২-৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ মঙ্গলবার (২৮শে মার্চ) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন যে, এটাতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছিল। আগে ছিল, যে কোনো ইউটিলিটি বিল যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে তার সাতদিন আগে জমা দিতে হতো। না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল গণ্য হতো। এখন বিলটা মনোনয়নপত্র যেদিন জমা দেবে, তার আগের দিন পর্যন্ত জমা দিতে পারবে।
সচিব বলেন যে, মনোনয়ন-পত্রের সঙ্গে টিআইএন সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে এবং কত টাকা আয়কর জমা দিয়েছে, তার রশিদ অনুযায়ী সাবমিট করতে হবে। এটা আগে ছিল না। এ দুটি অংশ যোগ করা হয়েছে।
তবে নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন যে, আপনারা যারা গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষক রয়েছেন, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটা বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের আইনানুগ কাজে বাধা প্রদান করেন, সেক্ষেত্রে (২ থেকে ৭) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এবিষয়ে সচিব বলেন যে, ধরুন, আপনি ক্যামেরা নিয়ে গেলেন। অনেক সময় হতে পারে মনোমালিন্য (হলো) আপনি বেরিয়ে যান, ইত্যাদি ইত্যাদি (বেরিয়ে যেতে বলা হলো)। আপনার যদি বৈধভাবে প্রবেশ করার অধিকার থাকে, কিন্তু তারপরও আপনাকে বের করে দেওয়া হলো বলপ্রয়োগ করে, ক্যামেরা ভেঙে ফেললো ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। এক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে, এটার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এখনো ফাইনাল হয়নি। আরও কিছু কারেকশন আছে। কিছু মতামতসহ এটা আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। তারপর আরও কিছু যদি সংযোজন হয়, সেটাসহ পাস করা হবে।
তবে ৩০০ আসনেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের আগে শুধু ডিসট্রিক্ট (জেলা) উল্লেখ করা ছিল। এখন জেলার পরিবর্তে প্রতিটি আসনে হবে। অর্থাৎ ৩০০ আসনে ৩০০ জন রিটার্নিং অফিসার থাকবেন- এমন আলোচনা হয়েছে।