অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
ভারতের মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
রংপুরের জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন ‘স্যার’ সম্মোধনে বাধ্য করেছেন-এমন অভিযোগ তুলে (২২শে মার্চ) বুধবার রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষক।
নিজের শিশুকন্যাসহ ওমর ফারুক নামে ওই শিক্ষকের প্রতিবাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে একত্রিত হলে পরে উভয়পক্ষের আলোচনার প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমঝোতা হয়।
ওমর ফারুক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি জানান যে, বুধবার সন্ধায় একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাত করে ফলপ্রসূ আলোচনার পর বিদায় জানাতে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে তিনি ‘আপা’ সম্মোধন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসক তার কাছে জানতে চান, এই চেয়ারে কোন পুরুষ বসে থাকলে তাকে স্যার বলে সম্মোধন করতেন কি না।
জেলা প্রশাসকের এমন প্রশ্নে অপমানিত বোধ করে সঙ্গে সঙ্গে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে প্লাকার্ড লিখে ওমর ফারুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলার সিড়িতে অবস্থান নেন।
উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা জানান, বিষয়টি মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। পরে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন নিচে নেমে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করলে ক্ষোভ প্রশমিত হয় বলে জানান তারা।
জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শুধু এটুকু বলেন, একটা বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটার সমাধান হয়ে গেছে।
তবে ঘটনার সময় উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলেছেন, বিষয়টি আসলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দাম্ভিকতা থেকে নয়, বরং নারী ও পুরুষের মধ্যে সামাজিক বৈষম্যের দৃষ্টিকোণ থেকে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন এই কথা বলে থাকতে পারেন।