অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে
অরুণাচলের তাওয়াং সীমান্তে সেনাদের মুখামুখি সংঘর্ষের পর সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে চীন ও ভারত।
স্যাটেলাইট ছবি থেকে দেখা যায় যে, ভারতের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ভূখণ্ড তিব্বতের প্রধান ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক ড্রোনের সংখ্যা বাড়িয়েছে চীন। অপরদিকে তুষারপাতের মধ্যেও প্রয়োজনে দ্রুত সীমান্তের কাছে যেতে সুড়ঙ্গ তৈরি করছে ভারত।
চীনের মত বিপ্লব ঘটাতে হবে মির্জা ফখরুল
তবে অরুণাচলের সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ চলছে।
গত ৯ই ডিসেম্বর রাজ্যটির তাওয়াং সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এরপর আকাশে টহল বাড়িয়েছে ভারত। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে, তাদের হাতে আসা একটি ছবিতে সীমান্তরেখার ১৫০ কিলোমিটার দূরের চীনের বাঙদা বিমানঘাঁটিতে ডাব্লিউজেড-৭ সোরিং ড্রাগন ড্রোনের উপস্থিতি দেখা গেছে।
তবে ডাব্লিউজেড-৭ সোরিং ড্রাগন ড্রোন ১০ ঘণ্টা অবিরাম চলতে পারে। ড্রোনটি গোয়েন্দা নজরদারি ও উদ্ধার তৎপরতার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ক্রুজ মিসাইলে ডাটা পাঠাতেও সক্ষম এটি। ২০২১ইং সালের প্রথম এ ধরনের ড্রোন প্রকাশ্যে আসে। ভারতের হাতে এ ধরনের কোনো ড্রোন নেই।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে যে, চীনা ঘাঁটিতে ফ্ল্যাংকার জাতের দুটি যুদ্ধবিমানও দেখা গেছে। এগুলো রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমানের আদলে তৈরি করেছে চীন। এ যুদ্ধ বিমানটি তাদের চীনের নিজস্ব সংস্করণ।
এবিষয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক এক পাইলট বলেন যে, এসবের (ড্রোন ও বিমান) উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, আকসাই চীন ও উত্তর-পূর্ব ভারতীয় অঞ্চলের ম্যাকমোহন লাইনের আশপাশে কোনো মিশন বাস্তবায়নে কার্যকর পরিবেশ তৈরি করছে চীন।
এদিকে যেকোনো মৌসুমে সীমান্তরেখায় দ্রুত সশস্ত্র বাহিনী পাঠাতে অরুণাচল রাজ্যে ১৩ হাজার ফুট উঁচুতে সেলা পাস সুড়ঙ্গ তৈরি করছে ভারত। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) কর্তৃপক্ষ এই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২৩ইং সালের জুলাইয়ের মধ্যেই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শেষ হবে।
তবে শীতকালে তাওয়াং পৌঁছানোর জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বালিপাড়া চরিদুয়ার রাস্তা ব্যবহার করে। অতিরিক্ত তুষারপাত হলে এই পথে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচলও সীমিত হয়ে যায়।
এবিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, সেলা পাস সুড়ঙ্গ দিয়ে যেকোনো মৌসুমে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। এর কাজ শেষ হলে তাওয়াং যাওয়ার দূরত্ব প্রায় ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার কমে যাবে।
তবে তাওয়াং সীমান্তে চীন ও ভারতের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সুড়ঙ্গটি তৈরি করার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।