অনলাইন ডেস্ক নিউজ::
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) থেকে বহিষ্কারের পর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে গঠন করা হয় তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে।
আজ রবিবার (১৮ই ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশের ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন পেতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে ইসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোঃ ইয়াছিন খান। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান।
তবে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন যে, আপিল বিভাগ ইসির লিভ টু আপিল খারিজ করায় তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন পেতে আর কোন ধরনের আইনি বাধা রইলো না।
এবিষয়ে ইসির আইনজীবী মোঃ ইয়াছিন খান বলেন যে, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশটি ইসিকে জানানো হয়েছে। এ আদেশের পর ইসি কী পদক্ষেপ নেবে সে বিষয়ে এখনো আমাকে কিছু বলা হয়নি।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে তিনটি দল গড়েছিলেন। এ হিসেবে তৃণমূল বিএনপি তার চতুর্থ দল। তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশন ২০১৮ইং সালের ১৪ই জুন একটি চিঠি দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করা, সরকার নির্ধারিত ফির চালান জমা না দেওয়া ও নিবন্ধন দেওয়ার মতো তথ্য না থাকার কারণ দেখানো হয় সেখানে।
নির্বাচন কমিশনের ঐ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সেই আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট ঐ বছরের ১৪ই অগাস্ট রুল জারি করেন। তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চওয়া হয় ওই রুলে। সেই সঙ্গে দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর ঐ বছরেই ৪ঠা নভেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করা হয়। তার পরে ২০১৯ইং সালে হাইকোর্টের রায়ের
বিরুদ্ধে অপিল করতে অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে ইসি। প্রায় তিন বছর পর সে আবেদনটি খারিজ করলেন সর্বোচ্চ আদালত।