কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা
অনলাইন ডেস্ক নিউজ::
কুমিল্লার ধর্মপুরের রেলগেট এলাকায় সরকার দলের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অস্ত্রসহ মহড়া, গুলিবর্ষণ ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে রাসেল নামে এক আওয়ামী লীগের কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনা গেছে।
গতকাল রবিবার (২১শে আগস্ট) বিকেলে আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হান্নান সোহেল ও ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফখরুল ইসলাম রুবেল এর গ্রুপের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে
না গেছে, কুমিল্লার সদর উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য আবদুল হান্নান সোহেলের সঙ্গে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফখরুল ইসলাম রুবেলের দ্বন্দ্ব রয়েছে
আবদুল হান্নান সোহেল ওই ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা। ফখরুল ইসলাম রুবেল ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে দুজনেই ধর্মপুর এলাকায় রড-সিমেন্টের ব্যবসা করেন। এই নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। রবিবার ২১ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নগরীর টাউন হলে জনসভার আয়োজন করে কুমিল্লা মহানগর
আওয়ামী লীগ। সেখানে সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও যোগ দেয়। সভাস্থলে আসার সময় আবদুল হান্নান সোহেল ও ফখরুল ইসলাম রুবেলের গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, দুজন বন্দুক হাতে মহড়া দিচ্ছে। স্থানীয়রা তাদেরকে মেম্বার রুবেল ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা চপল বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও সিসিটিভির ক্যামেরা ভাঙতে দেখা যায় জনি নামে একজনকে।
ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান সোহেলের বাবা আবদুল লতিফ বলেন যে, সোহেল তার বন্ধু রাসেলের মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিল। পথে ফখরুল ইসলাম রুবেল, আবুল বাশার, জনি ও চপলসহ লোকজন পেছন থেকে তার ওপর গুলিবর্ষণ করে। রুবেলরা তাদের মোটরবাইকটি পুড়িয়ে দেয়। রাসেলের পায়ে ও গালে গুলি লেগেছে। সোহেল ও তার চাচা
আব্দুল মতিনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারা এ ঘটনা ঘটায়। সোহেল আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির কর্মী। বাহার সাহেবের রাজনীতি করতে গিয়ে গুলি খেয়েছিল। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ ঘটনার জন্য আব্দুল হান্নান সোহেল দায়ী করেন ফখরুল ইসলাম রুবেলের পক্ষকের লোকজনকে।
তবে তিনি আরও বলেন যে, রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর বেশি তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ফখরুল ইসলাম রুবেলের বলেন যে, বয়স্ক একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করেন আবদুল হান্নানের লোকজন। এরপর মিছিলে থাকা লোকজন তাদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়। এদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের
অভিযোগ আছে। তারাই এ ঘটনার জন্য দায়ী।
এবিষয়ে রুবেল মেম্বারের পক্ষের যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম চপল জানান যে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির টাউন হলে ডাকা গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলে আসার পথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসারের ওপর হামলা করে ইউপি মেম্বার সোহেল। খবর পেয়ে আমাদের কর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
তবে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তার মোটরবাইক পুড়িয়ে দেয়। এর বেশি কিছু নয়। এ অভিযোগ গুলো বানোয়াট।
এবিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সহিদুর রহমান বলেন যে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে লিখিত
অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।