বিয়ের দাবিতে অসিমের বাড়িতে মুক্তা
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছতিয়া গ্রামে তুচ্ছ এক ঘটনাকে নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
গত শনিবার (৯ই জুলাই) বিকেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরী আয়শা বেগম (১৮) কমলগঞ্জ ইউপির ছতিয়া গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার মেয়ে।
কমলগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায় যে, ছতিয়া গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার পরিবার শনিবার সকালে কোরবানির গরু বাড়ির আঙ্গিনায় ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখেন। বিকালে পাশের বাড়ির জহুর মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া ঐ গরুটি তাদের ক্ষেতের ধান খেয়েছে বলে অভিযোগ করে গরুটি তাদের বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের সদস্যদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিরাজ মিয়া গংরা মৃত আজাদ মিয়ার পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় ৮জন আহত হয়।
আহতরা হলেন আয়শা বেগম(১৮), নশাদ মিয়া(৫৫), কনিজা বেগম(৫৫) জুবেদা আক্তার(৪৫), ছালেহা বেগম(৪০), হারিস মিয়া(৩৫), বদরুল ইসলাম সোহাগ(২৩) ও সুমন মিয়া ওরফে সালাউদ্দিন (২৫)।
গ্রামবাসী আহত নারীদের উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আয়েশা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে আয়েশার মৃত্যু হয়।
আয়েশার পরিবারের সদস্যরা জানায় যে, আগামী বুধবার (১৩ই জুলাই) একই গ্রামের সালাউদ্দিন সুমনের সাথে আয়েশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সেই মতে প্রায় সবধরণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিলেন তারা। হামলাকারী সিরাজ মিয়া আয়েশাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আয়েশা সিরাজ মিয়ার ফুফাতো বোন হওয়ায় আয়েশার পরিবার আত্বীয়ের সাথে আয়েশার বিয়ে দিবেন না বলে সিরাজের পরিবারকে জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই সিরাজ এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান আয়েশার পরিবার।
সোমবার (১১ই জুলাই) এই হামলার ঘটনায় ৭জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়।
এ মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক বিজয় প্রসাদ রায় হামলা ও কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে, এ মামলার দুই আসামী সিরাজ ও সামাদ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।