কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার সমুহে লাগামহীন দাম বাড়ায় মৌসুমী তরমুজ এখন এক বিলাসী খাদ্য দ্রব্য হয়ে উঠেছে। এবছর উপজেলায় তরমুজ এর চাষ কম হওয়ায়তে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ কিনে বিক্রি করার কারনে পণ্যটির মূল্য অনেক বেশী রাখা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবী করেছেন। তাই দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।
কমলগঞ্জে তরমুজ এখন প্রতি পিস প্রায় ৪শ থেকে ৬শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আম, কাঁঠাল, লিচুসহ অন্যান্য দেশী ফলের মৌসুম না আসায়, তরমুজের দাম দ্বিগুণ বা তিনগুণ নয়, পাঁচ-ছয়গুণ বাড়িয়েও বিক্রি করছে তারা।
উপজেলার সদরের ভানুগাছ বাজার,শমসেরনগর, আদমপুর,মুন্সিবাজার,পতনউষার মাধপুর, ইসলাম পুর বাজার সমুহে প্রকারভেদে মাঝারি ও বড় সাইজের প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৬শ’ টাকা দরে। রোজা শুরু হওয়ার পর ছোট সাইজের একটি তরমুজও বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে আড়াইশ টাকা দরে।
বাজারে ঘুরে আরো জানা যায় যে, কৃষকদের কাছ থেকে ফড়িয়ারা ‘খেত মূলে’ তরমুজ কিনে পাইকারি মোকামে এক ধাপ লাভে বিক্রি করেন। আবার পাইকারি মোকাম থেকে আরেক ধাপ লাভে ‘শ মূলে’ খুচরা ব্যবসায়ীরা কেনেন। এরপর খুচরা ব্যবসায়ীরা আবার ভোক্তা পর্যায়ে তা কেজি/ পিস আকারে আরেক দফা লাভে বিক্রি করেন। ফলে তিন হাত ঘুরে এই তরমুজের দাম এলাকাভেদে ৫/৬ গুণও বেড়ে যায়। তবে মৌসুমের শুরু, অন্যান্য ফল না থাকা, পরিবহন খরচ, পথে পথে চাঁদা দেওয়াসহ চাহিদা মতো তরমুজ না পাওয়ায় দাম বাড়ছে বলে দাবি আড়ৎ ব্যবসায়ীদের। এদিকে মৌসুমি ফলের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে। তরমুজ বিক্রেতারা বলছেন, পণ্য পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে। তারপরও দাম কমেছে এবং সামনে আরও কমবে।
তরমুজ ক্রয় করতে আসা ভোক্তা এক প্রতিক বলেন যে, তরমুজ এখন “বড়লোকদের” খাবার। আমরা সাধারন মানুষদের নাগালে বাইরে চলে গেছে। বাচ্চাদের চাহিদা পুরণের জন্য অন্য খাবার না নিয়ে তরমুজ নেয়ার চেষ্টা করছি।
তরমুজ বিক্রেতারা বলেন যে, গরম পড়তে শুরু করেছে। আর তরমুজও পাকতে শুরু হয়েছে। বাজারে যেমন তরমুজ আসছে, তেমনি ক্রেতাও আছে। তবে দাম একেক জায়গায় একেক রকম। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ফল বিক্রেতারা ও দাম বেশি থাকার কথা স্বীকার করছেন। তাদের ভাষ্য, পাইকারি বাজার থেকে গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বেশি দামেই তরমুজ কিনতে হচ্ছে তাদের। যার কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব অনেকটাই বেশি।