অনলাইন ডেস্ক নিউজ।।
স্বামীর হাতে খুন হন নববঁধূ তামান্না
টিপ নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তার ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করে পুলিশ।
আজ (৪ঠা এপ্রিল) সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান যে, টিপ নিয়ে কটূক্তিকারী কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। ঘটনায় জড়িত হিসেবে তাকে শনাক্ত করেছি আমরা। হেনস্তার শিকার শিক্ষিকা যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন, তার যথাযথ তদন্ত করা হবে।
জিডিতে ড. লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেন বলে যে, শনিবার সকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা থেকে রিকশায় আনন্দ সিনেমা হলের সামনে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে তার কর্মস্থল তেজগাঁও কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। সেজান পয়েন্টের সামনে একজন পুলিশের পোশাক পরা (মোটরবাইক নং ১৩৩৯৭০) ব্যক্তি পার্ক করে রাখা মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কলেজ শিক্ষিকার কপালের টিপ নিয়ে টিজ করেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সেই পুলিশ।
হেনস্তার শিকার শিক্ষিকা লতা আরও অভিযোগ করেন যে, পেছনে ফিরে গিয়ে তার আচরণের প্রতিবাদ করলে আবারও গালিগালাজ করেন ওই পুলিশ। পরে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে শিক্ষিকার গায়ের ওপর চালিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন সেইপুলিশ সদস্য। সে-সময় তিনি বাইকের নিচে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। তার মুখে দাঁড়ি আছে, তিনি মোটা এবং অনুমান করতে পেরেছি তিনি মধ্যবয়সী।
ঘটনাস্থলের আশেপাশের বিভিন্ন মার্কেটে দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে নাজমুলকে শনাক্ত করা হয়।
আজ সোমবার সকালে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের কর্মকর্তারা।
এসময় সেই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান যে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত শনিবার তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার নিজ কর্মস্হলের দিকে হেটে যাচ্ছিলেন। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একজন পুলিশ কনেস্টবল তার টিপের প্রতি উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন। এরপর শিক্ষকা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।