ডেস্ক নিউজ।।
সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ৭৬ বার
বিশ্বের অন্যতম সাবেক স্বৈরশাসক লৌহমানব কর্নেল মুয়াম্মাদ গাদ্দাফির একমাত্র জীবিত ছেলে সাইফ আল ইসলাম জনসম্মুখে আসতেচান। তিনি লিবিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।
ইউরোপে সাগর পথে যাইবার প্রবণতা বাড়ছে
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানিয়েছেন, তিনি বলেন ‘দীর্ঘ দশ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ থেকে দূরে আছি। এখন ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে। তিনি লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান।
স্বামীকে হত্যা করে প্রেমিকের সঙ্গে একই ঘরে
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বন্দী কি না এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন যে, আমি এখন মুক্ত এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে কাজ করছি। আপনি কল্পনা করতে পারেন? যারা আমাকে বন্দী হিসেবে পাহারা দিয়ে রাখার কথা ছিল, তারা এখন আমার ভালো বন্ধু। এক দশক আগে যারা তাকে গ্রেফতার করেছিল, পরে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। একসময় সেই বিপ্লবীরা উপলব্ধি করে, সাইফ তাদের শক্তিশালী মিত্র হতে পারেন।
২০১১ইং সালের নভেম্বরে লিবিয়ার সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আজমি আল-আতিরি সাইফ গাদ্দাফিকে আটক করে এবং তখন থেকে সাইফ এ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত কারাগারে আটক ছিলেন।
লিবিয়া সরকার অবশ্য দাবি করেছিল, সাইফ গাদ্দাফি তাদের নিয়ন্ত্রিত কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ইং সালে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফসহ গাদ্দাফির শাসনামলের প্রায় ৩০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ২০১১ইং সালের অভ্যুত্থানের সময়কার অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১১ইং সালে বিদ্রোহীদের হাতে প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি নিহত হওয়ার একদিন পর সাইফও ধরে পড়েন। ২০১৭ইং সালে বিদ্রোহীদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাইফকে আর জনসমক্ষে তেমন দেখা যায়নি। বাবা গাদ্দাফি হত্যার পর তাকেই লিবিয়ার পরবর্তী উত্তরসূরি ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। গাদ্দাফির সাত সন্তানের মধ্যে তিনজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।