কুলাউড়া প্রতিনিধি।।
টিলার ঢালে খুঁটির মতো মরা একটি গাছ। তাতেই শার্ট দিয়ে তৈরি করা ফাঁসে ঝুলছিল যুবকের লাশ। পাশেই বসে কাঁদছিল এক কিশোরী।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ভারত সীমান্তের কাছে এওলাছড়া পানপুঞ্জির কাঠালঝুম পানঝুম এলাকায় শনিবারের ঘটনা এটি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক ও কিশোরী প্রেমিক-প্রেমিকা। শুক্রবার তারা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। আর শনিবার তাদের ওই অবস্থায় সীমান্ত অঞ্চলটিতে দেখতে পান স্থানীয়রা।
শিপন নামের ১৯ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা জানান, ওই মুসলমান কিশোরীর সঙ্গে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিপনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার শিপন ওই কিশোরীকে নিয়ে তার বাড়িতে গেলে আত্মীয়-স্বজনরা তাদের তাড়িয়ে দেয়।
কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিলভেস্টার বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে তার এলাকায়। তবে ছেলে ও মেয়ের বাড়ি অন্য এলাকায়। যেভাবে ছেলেটির গলায় ফাঁস লাগানো ছিল, তাতে সন্দেহ হচ্ছে। মেয়েটিও সঠিক করে কিছু বলতে পারছে না।
পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহিন মিয়া ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে জানান, ছেলেটির পরিবার তাদের তাড়িয়ে দেয়ার পর তারা পাহাড়ের দিকে যায়। পরে মেয়েটি পাহাড়ের ঢাল থেকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফেরার পর ছেলেটিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার এসআই মহসিন তালকুদার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল তৈরি করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
ওই কিশোরী তাদের হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।