কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গত ১৩ই নভেম্বর দেওড়াছড়া চা বাগান থেকে রেশমার গলিত লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যার সাথে জড়িত ঘাতক প্রেমিক দিপেশ উরাং (২৪) কে আটক করেছে পুলিশ। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক। শনিবার রাতে রেশমার ছোট ভাই রহমত আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রোববার (১৫ই নভেম্বর) বিকাল ৪টায় মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে ঘাতক প্রেমিক দিপেশ।
মুল রহস্য জানা যায় যে, মাধবপুর চা বাগানের মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে স্কুল ছাত্রী রেশমা বেগম (১৭) এর সাথে দিপেশের পরিচয় হয় একটি বিয়েতে। সেই পরিচয়ের সূত্রেই দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তারা এক পর্যায়ে প্রেমিক দিপেশ রেশমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে রেশমা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তার। গত ৯ই নভেম্বর বিকেলে পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বিকেলে বেড়ানোর কথা বলে স্কুল ছাত্রী রেশমা বেগমকে তার বাড়ি থেকে মোটরবাইকে করে রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগানের ভেতরের একটি টিলায় নিয়ে যায়। কৌশলে পেছন থেকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে প্রেমিক দিপেশ। হত্যার পর রেশমার লাশ টেনে নিয়ে পার্শ্ববর্তী অন্য টিলায় ফেলে সে। এমনই লোমহর্ষক ঘটনা উঠে এসেছে ঘাতকের জবানবন্দীতে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান রেশমা হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে, শনিবার রাতেই ঘটনার মুল আসামী রেশমার প্রেমিক দিপেশকে আটক করে তার জবানবন্দী অনুযায়ী হত্যার আলামত উদ্ধার করা হয়। রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকালে আসামীকে মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে। এ ব্যাপারে মেয়েটির ছোট ভাই রহমত আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে কমলগঞ্জ থানায় ।