কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান,১টি বসত ঘর পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আগুনে প্রায় ৩৫/৪০ লক্ষ্য টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২৮ এপ্রিল ২৫) ভোর রাত প্রায় ৪ টার দিকে উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর তিলকপুর আদমপুর রোডে এঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িরা জানান (মোঃ শাহজান মিয়ার মুদি দোকান, মোঃ সুয়েব মিয়ার মুদি দোকান, হামিদ মিয়ার ফার্নিচারের দোকান
,হাসন মিয়ার বসতঘর)
উত্তর তিলকপুর (নগর পয়েন্টে) আদমপুর রোডে ভোর রাত প্রায় ৪টায় বৈদ্যুতিক শর্ট–সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হলে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে উত্তর তিলকপির (নগর পয়েন্টে) ব্যবসায়ী শাহজান মিয়া জানান, আগুনে আদমপুর রোডের ৪টি দোকান, ১টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ্য টাকার বেশি হবে।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানান
আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে আশপাশের আরও বেশ কিছু দোকান ও বাড়ির বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
ক্ষতিগ্রস্ত হামিদ মিয়া বলেন, “আমার জীবিকা ও সংসার চালানোর একমাত্র সম্বল ছিল এই ফার্নিচারের দোকান। দোকানে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার কাঠ ও বিভিন্ন ধরনের মেশিন ছিল। অনেক মানুষের অগ্রিম দেওয়া অর্ডারের কাজ চলছিল, যার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা এনে জিনিসপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। এখন সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি এখন একেবারে শুন্য অবস্থায়।”
ঘটনার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
স্থানীয়দের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ দ্রুত তদন্ত করে বের করা হোক এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ও যথাযথ সহায়তা প্রদান করা হোক। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তের প্রক্রিয়া চলছে।