কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি বসতঘরের ৩টি রুম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবসহ ২০ লাখ টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কি ভাবে ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এসময় আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বসতঘরের মালিক দুরুদ মিয়া ও আবুল কালাম।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার উপজেলা চৌমুহনী (বরগাছ) গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী দুরুদ মিয়া বসতঘরে শনিবার ভোর ৬টার সময় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলেও ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরটি ৩টি রুম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল ও বসত ঘরের মালিক দুরুদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী বলেন, হঠাৎ করে আগুন লাগে বাড়িতে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সাথে সাথে বসত ঘরের ৩টা কক্ষ পুড়ে চাই হয়ে যায়। পড়নের কাপড় ছাড়া আর কিছু সাথে নিয়ে বের হতে পারিনি। আমার বাবা ও দোকানের ম্যানাজার গুরুত্বর আহত হয়েছেন। বাবা ঢাকায় ও ম্যানাজার মৌলভীবাজারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বসতঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবসহ কমপক্ষে ২০লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনের সূত্রপাত কি ভাবে হয়েছে তা বলতে পারছি না।
দুরুদ মিয়ার জামাতা জামায়াত নেতা জাবের আহমদ মিন্টু জানান, অগ্নিকান্ডের সময় বিদ্যুৎ ছিল না। অগ্নিকান্ডে মুহুর্তেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সঠিক সময়ে আসেনি। পানিও গাড়িতে ছিলনা। আগুন নেভাতে সময় লাগে। যার কারণে সব পুরে চাই হয়ে যায়।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ফয়েজ আহমদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বসত ঘরের ৩টি রুম সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। আমাদের ধারনা আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।আগুন নেভাতে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কোনো ঘাটতি ছিল না।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর পরিদর্শণ করে তিনি জানান, ‘ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি দেখেছি। আগুনের সূত্রপাত কি ভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।’