কমলগঞ্প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের চা শ্রমিক কন্যা পূর্নিমা রেলী (১০) ধর্ষণের চেষ্টা কালে চিৎকার করায় দায়ের কূপে কিশোরীর হাতের কজি ও গলা কেটে হত্যা করে দুই যুবক। ঘটনার ১৭ দিন পর আটক যুবককে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অপর অভিযুক্ত আটকের তৎপরতা চলছে।
আটককৃত দিবস রেংগট কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের নারায়ন টিলার লাসমা রেংগটের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শমশেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর শ্রমিক বস্তির চা শ্রমিক আপ্পানা রেলীর মেয়ে পূর্নিমা রেলী (১০) গরু আনতে গিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়েছিল। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারী সকালে চা বাগান লেকের ধারে গলাকাটা ও হাতের কব্জি কাটা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল তৈরী করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছিল। শুরু থেকেই চা বাগান শ্রমিকদের ধারণা ছিল শিশু পূর্নিমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে পরে গলা ও হাতের কব্জি কেটে হত্যা করা হয়েছে।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তিনি ও তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রতন হাওলাদা ঘটনাস্থল থেকে জব্দ দুই জোড়া সেন্ডেলের সূত্র ধরে তদন্ত করে ১৭ দিন পর শমশেরনগর চা বাগানের যুবক দিবস রেংগট (১৯) কে (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত ১২টায় আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার সাথে আরও একজন ছিল। কিশোরীকে একা পেয়ে তারা দুইজন ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন কিশোরী পূর্ণিমা চিৎকার করলে দা দিয়ে তার মুখে আঘাত করে একই সাথে ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে।
তিনি আরও জানান, পলাতক অন্য আসামীকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে এখন তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। আজ সকালে আটকৃত দিবস রেংগটকে গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
ছবি ক্যাপ : কমলগঞ্জে ধর্ষণের চেষ্টাকালে দায়ের কূপে কিশোরীকে হত্যাকারী যুবক দিবস রেংগট।