কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
দীর্ঘদিনের ভুমি জটিলতার সমস্যায় উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নং ভানুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভূমির দখলদার উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগীতায় দীর্ঘদিনের ভুমি জটিলতার সমস্যার অবসান ঘটে।
বুধবার (৪ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সহকারী) জয় কুমার হাজরার উপস্থিতিতে সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা প্রচীর নির্ধারণ করা হয়। এসময় দীর্ঘ ২ঘন্টা মাপ জরিপ করার পর ৩০ শতাংশ জায়গা উদ্ধার করা হয়। বাকি ৩ শতাংশ জায়গা কোথায় আছে বা কার দখলে আছে সেটা সরকারি নিয়মে উদ্ধার করা হবে বলে জানা যায়।
সড়জমিনে গেলে জানা যায়, একটি স্কুলের ৩৩শতাংশ জায়গা নির্ধারণ করা তাকলেও বাস্তবে ৩০ শতাংশ জায়গা রয়েছে। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ২ নং ভানুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কৃষ্ণ কুমার সিংহ ও কৃষ্ণ মোহন সিংহ এর মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়। নিজের জায়গা দাবী করে দুই পক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (সহকারী) জয় কুমার হাজরার উপস্থিতিতে সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করা হয়। এতে করে প্রথমে স্কুলের ২৭ শতাংশ জায়গা বের করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। পরে একই স্কুলের আরও ৩ শতাংশ বেদখল জায়গা উদ্ধার করে সীমানা নির্ধারণ করেন সার্ভেয়ার। বাকি ৩ শতাংশ জায়গা এখনো স্কুলের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে রয়েছে।
২ নং ভানুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেদখল ভুমি উদ্ধার ও সীমানা নির্ধারণ কালে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর, ২ নং ভানুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম, ঠিকাদার সৈয়দ জামাল হোসেন, তেতইগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর উদ্দিন, কৃষ্ণ চন্দ্রন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শান্ত কুমার সিংহ, সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শুভ, সাইদুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ কুমার সিংহ, কৃষ্ণ মোহন সিংহ,মনোরঞ্জন সিংহ, রাম চন্দ্র শর্মা প্রমুখ।
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জয় কুমার হাজরা বলেন, ‘উপজেলা নিবার্হী অফিসার জয়নাল আবেদীন স্যারের নির্দেশে আজ ২ নং ভানুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথমে ২৭ শতাংশ জায়গায় বাউন্ডারী নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে স্কুলের পিছনে থাকা আরও ৩ শতাংশ জায়গা সীমানা নির্ধারণ করা হয়।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্কুলের সীমানা নির্ধারণে পর ২৭ শতাংশ জায়গার মধ্যে বাউন্ডারী হবে। এসময় স্কুলের বাহিরে থাকা বাকি ৩ শতাংশ উদ্ধার করা হয় এবং সীমানা নিধারণ করা হয়। আরও ৩ শতাংশ জায়গা নিয়ম অনুযায়ী উদ্ধার করা হবে।’