কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
কমলগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকাল
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে জমির মালিকানা নিয়ে দু“পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আংশক রয়েছে।
বিরোধ নিরসনে আব্দুল মতলিব মিয়ার স্ত্রী মফিজা বেগমের (৫২) দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শ্রীপুর মৌজার এস.এ.খতিয়ান নং-১,জে.এল.নং-১০৯, দাগ নং-১৫৭০ এর ২ একর জমির স্বত্তাধীকারী। জমি নিয়ে মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালতে দায়েরকৃত ৪টি মামলায় রায় তার পক্ষে রয়েছে।
এছাড়া সহকরী জজ আদালতে স্বত্ত মামলা ০১/২০২২ ইং রায়ে বিঞ্জ আদালত স্বত্ত বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ডিগ্রি জারী করেন। এরপরও উক্ত ভুমিতে দখল, গাছ কর্তন সহ নতুন করে বসতবাড়ী গড়ে তুলছেন একই গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে মজিদ মিয়া (৭০), আলাল বক্সের ছেলে দিলাল বকস (৭৫), মজিদ মিয়ার ছেলে ছামিদ মিয়া (৪০), মজিদ মিয়ার মেয়ে রুবি বেগম (৩৫), আলাল বক্সের ছেলে কামাল মিয়া (৫০), ছামিদ মিয়ার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪০) ও মজিদ মিয়ার ছেলে মুন্না মিয়া (৩০)।
মফিজা আরো অভিযোগ করেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার ক্রয়কৃত শ্রীপুর মৌজার এস.এ.খতিয়ান ০১,এস.এ.দাগ নং-১৫৭০.আর.এস খতিয়াননং-১১১, আর.এস.দাগ নং-৩০৩৬, ৩০৩৮, ৩০৪০, ৩০৪৯ এর চারা রকম ভুমিতে রোপিত ছোট/বড় ১৫টি একাশি গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং সেখানে পাকা দালান ঘর নিমার্ণের কাজ শুরু করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিন পরিদর্শনে গেলে মফিজা বেগম তাদের স্বপক্ষে আদালত কর্তৃক স্বত্ব মামলার রায় ও ক্রয় কৃত দলিল প্রদর্শন করেন।
অপরদিকে, অভিযুক্ত আব্দুল ছামিদ মিয়া, আব্দুল হামিদ ও রুবি বেগম বলেন, এই জমি সরকারের খাস খতিয়ান ভুক্ত। এখানে কারো মালিকানা জমি নেই। আমরা প্রায় ১৫/২০ টি পরিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে বাড়ী/ঘর নির্মান করে ভোগ দখল করে আছি। ভোগদখল কারীদের মধ্যে অভিযোগকারীর পরিবারের সদস্যরা আছেন।
তারা আরো বলেন, ভূমিহীন পরিবার হিসাবে সরকার আমাদের নামে দলিল সম্পাদন করে দিয়েছে। পাকা ঘর নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন,এখানে মাটির তৈরী ঘর ছিল। বিগত দিনে ঘূর্ণীঝড়ের কারনে বিধ্বস্ত হয়। তাই এখন পাকা ঘর নির্মান করছি।
এদিকে শ্রীপুর গ্রামে জমির মালিকানাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনা নিরসরে প্রসাশনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সবুজুর রহমানের মোটোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।