অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
কমলগঞ্জে ধলাই নদীর বাঁধে দুটি স্থানে ভাঙন, ডুবেছে ৪০ গ্রাম
সুনামগঞ্জে এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) নির্মিত ডুবন্ত ও অলঅয়েদার সড়কের ৯০ ভাগ তলিয়ে গেছে। এতে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। অধিকাংশ স্থানেই সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় যে, জেলার ৭৮টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসব গ্রামের বেশিরভাগ রাস্তাঘাটই পানির নিচে। এই রাস্তাগুলোর পাকা সড়কগুলোর সবই এলজিইডি নির্মিত।
এ ছাড়াও জেলা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী কয়েকটি বড় সড়কও প্লাবিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ছাতক দোয়ারাবাজার সড়কের আন্দাইরগাও সড়ক পাহাড়ি ধরে ভেসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে, বন্যার পানিতে কাঠইর জামালগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশ, জানিগাও-জয়নগর সড়ক পুরোটাই ডুবে আছে। জানিগাও জয়নগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। এ ছাড়া জামালঞ্জ সেলিমগঞ্জ সড়কও ডুবে আছে। এই সড়কেও যান চলাচল বন্ধ।এভাবে উপজেলার সঙ্গে আভ্যন্তরীণ সংযোগ স্থাপনকারী অধিকাংশ সড়কই তলিয়ে আছে।
জানিগাও গ্রামের যুবক মোঃ রহমান মিয়া বলেন যে, জানিগাও জয়নগর সড়ক পুরোটাই দুদিন ধরে নিমজ্জিত। তাই গাড়ি চলছে না। এই সড়কটি ডুবে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তও হবে।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়া হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জের সব উপজলাতে সংযোগ স্থাপনকারী, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনকারী গ্রামীণ সড়ক এলজিইডি নির্মিত।
এসব সড়কের ৯০ ভাগ তলিয়ে গেছে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে। ফলে এসব সড়কে যান চলাচল কোথাও বন্ধ, কোথাও ব্যাহত হচ্ছে। ঢল ও বর্ষণে সড়কের ক্ষয়-ক্ষতিও হবে। তবে পানি না নামলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না।