কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল
আগামী ২৯শে মে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী চা শ্রমিক কন্যা ও চা শ্রমীক নেত্রী গীতা রানী কানু। তিনি গত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে কমলগঞ্জের বিপুল ভোট পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেননি। তবে কমলগঞ্জে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন। তারপরও গত ৮/১০ বছরে চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী আদায়ে মাঠে থেকে গীতা রান কানু ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
গত ১৩ই মে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক পেয়ে তিনি এখন একাই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।
সরজমিনে কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী গীতা রানী কানু চা বাগান এলাকায় ও প্লান্টেশন এলাকায় হাতে মাইক নিয়ে তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নারী চা শ্রমিকদের তিনি বলেছেন বিগত কয়েক বছর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী আদায়ে তাদের পাশে ছিলেন। এখন চা শ্রমিকরা ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে উপজেলা পরিষদ থেকে চা শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারবেন।
আজ শনিবার (১৮ই মে) বেলা সাড়ে ৪টায় দেখা যায় গীতা রানী কানু শমশেরনগর বাজারে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাকের সামনে রাস্তায় সিএনজি অটো রিক্সা দাঁড় করিয়ে আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতীক ঘোড়া মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
তিনি বলেন যে, কমলগঞ্জবাসী জানে তিনি সব সময় দুর্ণীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখনও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে আছেন। সুতরাং ঘোড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে উপজেলা পরিষদে অন্তত দুর্ণীতিবাজরা আর দুর্ণীতি করতে সাহস পাবে না।
চেয়ারম্যান প্রার্থী গীতা রানী কানু বলেন, ‘তিনি দরিদ্র চা শ্রমিক কন্যা। তার সম্পদ ও টাকা পয়সা নেই। তাকে পরিচিতজন ও বন্ধু বান্ধবরা মিয়ে সহায়তা করে মনোনয়ন ফি, প্রচারণার লিপলেট, মাইকিং খরচ দিচ্ছেন। সাথে নেতা,কর্মী ও সমর্থক নিয়ে প্রচারণা চালানোর খরচ নেই তার। তাই একাই প্রার্থী একই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তিনি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গত ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গ্রামে গঞ্জে ও চা বাগানে যেভাবে সমর্থন পেয়েছিলেন ঠিক সেইভাবে এবারও সমর্থন আছে