অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
বিশ্বকাপ ২০২৭ এর ৮ ভেনু্য চূড়ান্ত
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠে। শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে ঈদের দিন নামাজের পর থেকেই আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন সেখানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের আনাগোনায় শ্রীমঙ্গল এলাকা মুখর হয়ে উঠে। আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনেও লক্ষনীয় ভিড় ছিল শহরের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে।
সরেজমিনে দেখা যায় যে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নয়াভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভিড় করছেন হাজারও মানুষ। কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঈদের দিন ও আজ দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ছুটে আসেন । এখানকার প্রান প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ঘুরে ঘুরে দেখে তাদের ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন তারা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে পর্যটকরা পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটিতে বেড়াতে এসেছেন এখানে।
দুপুরের পর থেকে উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে চা বাগান, মাধবপুর লেইক, ৭১ বধ্যভূমি, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, টি মিউজিয়াম এবং সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানাসহ দর্শনীয় স্থানগুলো। হৈ-হুল্লোড় আর নাচ-গানে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এদিকে চা বাগানসহ জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে টুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনকে। তবুও দর্শনাথীদের নিরাপত্তা দিতে মোড়ে মোড়ে ছিল কঠোর নজরদারি। ফরিদপুর থেকে সপরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রুকশানা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে সময় দেওয়া যায়। তাই লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেক ও গতকাল মাধবকুণ্ড ঘুরে আসলাম। মৌলভীবাজার জেলার এত সুন্দর প্রকৃতি পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে এখানে একবার এসে এখন বারবার মন চাইবে এখানে ছুটে আসতে। কমলগঞ্জের মাধবপুর লেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা ডা. ফজলুর রহমান বলেন, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য মাধবপুর লেক দেখে আমরা মুগ্ধ। রাস্তা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও এখানে বেড়াতে এসে পর্যটকরা নিজেদের সাধ্যমতো আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। জলের মধ্যে উঁচুনিচু পাহাড়ে চা বাগান ঘেরা, এ এক আলাদা মায়াবী টান।
এদিকে ঈদুল ফিতরের দিন বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান প্রাকৃতিক ঝর্ণা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। ঈদের নামাজের পর থেকেই আনন্দ উপভোগে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের আনাগোনায় মাধবকুণ্ড এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। পর্যটন পুলিশ, বনবিভাগ আর থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে আগতরা সন্ধ্যা অবধি নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগ করেছেন। পর্যটকদের উপস্থিতিতে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখেও হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রকৃতিপ্রেমীরা যানবাহনে মাধবকুণ্ডে ছুটে এসেছেন। ঈদের দিন ও আজ দ্বিতীয় দিনে দুপুরের পর থেকে উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে জলপ্রপাত এলাকা। দূর-দূরান্তের প্রকৃতিপ্রেমীর সংখ্যা কম হলেও স্থানীয় লোকজনের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের পদচারণ, হৈ-হুল্লোড় আর নাচ-গানে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আনন্দের মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে নানা বয়সী মানুষকে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের উপপরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে এখানে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও হয়রানী ছাড়াই পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির অফিস সহকারী আফজাল হোসেন বলেন, ঈদের দিন ও আজ শুক্রবার উদ্যানে প্রায় পাঁচ হাজার সাতশত জন পর্যটক প্রবেশ করেছেন। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ‘দুই লক্ষ উনসত্তর হাজার টাকার । আশা করছি আগামী কয়েকদিনে অনেক পর্যটকের আগমনে হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।