অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
ইরানের গোয়েন্দা প্রধান নিহত ইসরায়েলের হামলায়
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
তবে গতকাল রোববার (২১শে জানুয়ারি) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭৮ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের গাজা যুদ্ধে ২৫ হাজার ১০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬২ হাজারের বেশি মানুষ।
গাজায় এত ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের মৃত্যুকে ‘হৃদয়বিদারক’ উল্লেখ করে ইসরায়েলের নিন্দা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় ‘জি৭৭ প্লাস চীন’ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুতেরেস বলেন যে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। মহাসচিব হিসেবে আমার আমলে সেখানে নজিরবিহীন হারে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
গত ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
তবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শহরটিতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে হামাস। ফলে বর্তমানে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তারা।
ছবি ও তথ্য সংগ্রহ।