অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
আওয়ামী লীগের লাগাতার কর্মসূচী ঘোষণা
শেখ হাসিনা আলেমদের জেলে ভরার কারণে দেশে গজব নাজিল হয়েছে। পথসভায় এ কথা বললেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
আজ রোববার (২৪শে ডিসেম্বর) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় বক্তব্য দেয়ার একপর্যায়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন যে, অবিলম্বে আলেমদেরকে জেল থেকে বের করুন। আমি ভোটে ফেল করলে আমার কিছুই হবে না। কিন্তু ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে না এলে শেখ হাসিনার অনেক কিছু হবে। শেখ হাসিনা যে কি জ্বালায় আছে সেটা বুঝলে নৌকা ওয়ালারা এত ফাল পারত না।
বঙ্গবীর আরও বলেন যে, জোর করে ভোট নিলে জোর থাকে না। এখন কেউ কাউকে সম্মান করে না।
এ কারণে প্রধানমন্ত্রী এক ‘পুচকাকে’ (অনুপম শাহজাহান জয়) নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। কে নির্বাচনে এলো কে এলো না সেটা বড় কথা না। জনগণ ভোট দিলো কিনা সেটাই বড় কথা। বিএনপি নির্বাচনে না এসে ভুল করে নাই। তাই বলে তাদেরকে ধরে ধরে জেলে পাঠাতে হবে সেটা আমি মানব না। জ্বালাও পোড়াও করলে ধরবেন। কিন্তু বিএনপি করলেই তাকে ধরতে হবে এটা হবে না।
কাদের সিদ্দিকী ভোটারদের উদ্দেশে বলেন যে, আপনরা ভোট দিবেন আমি রক্ষা করব। কেউ ভোট ডাকাতি করলে আমাকে খবর দিবেন। যা যা করার আমি করব।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন যে, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আমিই চালু করেছি এবং এ বছরই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আমি ইনশাল্লাহ ৪০ হাজার টাকা করব।
এক পথসভায় ১৯৯৯ সালের ১৫ই নভেম্বর উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতির বিষয়ে তৎসময়ে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় মতিউর রহমান চৌধুরীর লেখা ফাতেমার মানত পূরণ হলো না শিরোনামে একটি প্রতিবেদনের লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ পথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাসরিন সিদ্দিকী, কুঁড়ি সিদ্দিকী, এ টি এম সালেক হিটলু, এম এ সবুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ মিয়া, কামরুজ্জামান, সানোয়ার হোসেন মাস্টার, সানোয়ার হোসেন সজীব, হাবিবুন্নবী সোহেল ও আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
(ছবি ও তথ্য সংগ্রহ)