কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
আওয়ামী লীগের লাগাতার কর্মসূচী ঘোষণা
মৌলভীবাজারে মণিপুরী গারো ও খাসিয়াদের উৎসব, প্রস্তুতি চলছে।
গতবছর কমলগঞ্জের মাধবপুরে মণিপুরীদের মহারাসলীলা উৎসব।
মাধবপুর মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন যে, ‘এবারের রাসোৎসব আমরা বড় পরিসরে আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
পর্যটন নগরী হিসেবে সারা দেশের মধ্যে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার খ্যাতি রয়েছে।
এখানে যেমন রয়েছে সারি সারি চায়ের বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হাওর, লেক ইত্যাদি, পাশাপাশি রয়েছে লোকালয় ও উঁচু নিচু টিলার ওপরে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী। এই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপন ও তাদের নানা উৎসব আকর্ষণ করছে পর্যটকদের।
সারা বছরই নানা অনুষ্ঠানে মেতে উঠেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা, তবে প্রধান উৎসবগুলো হয় শীত মৌসুমে।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, এ বছরের নভেম্বর মাসেই গারো, খাসি (খাসিয়া) ও মণিপুরীদের পৃথক বড় তিনটি উৎসব রয়েছে। যে উৎসবগুলো দেখতে ভিড় জমান দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটক ও স্থানীয়রা।
শ্রীমঙ্গলে গারোদের ওয়ানগালা উৎসব
গারোদের অন্যতম বড় উৎসব ওয়ানগালা। সাধারণত শীতের শুরুতে নতুন ফসল ঘরে তোলার পর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এর আগে তাদের নতুন খাদ্যশস্য খাওয়া নিষেধ। গারো ভাষায় ‘ওয়ানা’ শব্দের অর্থ দেব-দেবীর দানের দ্রব্যসামগ্রী আর ‘গালা’ শব্দের অর্থ উৎসর্গ করা। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে তারা তাদের দেবতার কাছে ফসল উৎসর্গ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
আগামী ১৯শে নভেম্বর রোববার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুলছড়ি গারো পল্লীর মাঠে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
কমলগঞ্জে খাসিয়াদের খাসি সেং কুটস্নেম উৎসব
খাসি (খাসিয়া) জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব খাসি সেং কুটস্নেম। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে খাসিরা তাদের পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। আগামী ২৩শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার খাসিয়া জনগোষ্ঠীর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মাঠে দিনব্যাপী এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
কমলগঞ্জে মণিপুরীদের মহারাসলীলা উৎসব
নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা, সাহিত্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির দিকে এগিয়ে থাকা মণিপুরীদের প্রধান উৎসব মহারাসলীলা উৎসব। আগামী ২৭শে নভেম্বর সোমবার কমলগঞ্জের মাধবপুরের শিববাজারে (জোড়া মণ্ডপে) ও আদমপুরের তেতইগাঁওয়ে আয়োজন করা হয়েছে এই উৎসবের। রাস উৎসবের দুটি পর্ব থাকে। দিনের বেলায় রাখালনৃত্য আর রাতে মহারাস।
রাখালনৃত্যে শ্রীকৃষ্ণের শিশুকালের নানা লীলা তুলে ধরা হয়। রাতের বেলা শুরু হয় মহারাসলীলা। ভোর অবধি রাধাকৃষ্ণের নানা কাহিনি ফুটিয়ে তুলেন মণিপুরীরা।
মাধবপুর মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল এস পলাশ বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো ঐতিহ্য ও ধর্মীয় ভাবধারায় ১৮১তম শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই মহোৎসব উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। মণিপুরী সম্প্রদায়ের শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব।’
মাধবপুর মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, ‘এবারের রাসোৎসব আমরা বড় পরিসরে আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছি।