1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞায়ও কি মেনেনডেজ ঘুস নিয়ে ছিলেন - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
নিজ অর্থায়নে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন ইউএনও জয়নাল আবেদীন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ৩ ভাগে বিভক্ত  মাওঃ মূফতী শাহ্ মোঃ মোশাহিদ আলী আজমী ছাহেব রহ. এর সংক্ষিপ্ত জীবনী কমলগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকাল কমলগঞ্জে মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া সাবেক কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদের দখলে থাকা লাউয়াছড়ার জায়গা উদ্ধার  কিশোরগঞ্জের ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৩০ কমলগঞ্জে বসত বাড়ি ভাংচুর,থানায় অভিযোগ কমলগঞ্জে মাছ শিকারের উৎসবে মেতেছেন সৌখিন মৎস্য শিকারীরা

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞায়ও কি মেনেনডেজ ঘুস নিয়ে ছিলেন

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৯ বার দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::

পরাশক্তির স্যাংশনে বিএনপি জামায়াত আত্মহারা বললেন : বাহাউদ্দীন নাছিম


বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন ডেমোক্র্যাট সিনেটরের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত শুক্রবার নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট সিনেটর রবার্ট বব মেনেনডেজকে ৮ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো লাখ লাখ ডলার দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। শুধু মেনেনডেজ নন তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ বব মেনেনডেজই বাংলাদেশের প্যারামিলিটারি বাহিনী র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার দাবির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

তবে বর্তমানে খবর হলো, পাহাড়-সমান দুর্নীতির অভিযোগে রবার্ট মেনেনডেজের পদত্যাগের জোর দাবি উঠেছে। এরই মধ্যে তিনি সিনেটে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি থেকে সরে এসেছেন। ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর বেন কার্ডিন ওই পদে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এবারই প্রথম নয়, ২০১৫ সালেও একই পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল তাকে।সেই সময় এক দাঁতের ডাক্তারের কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

তবে রয়টার্স জানায় যে, সিনেটর রবার্ট মেনেনডেজ গত বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ফেডারেল অভিযোগের কারণে তার পদত্যাগের দাবি তোলা হলেও তিনি সিনেটরের পদ ছাড়ছেন না। দুর্নীতি ও ঘুস গ্রহণের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বলেন যে, ‘আমি নিউজার্সির মানুষের জন্য ১৮ বছর ধরে ভোটে অংশ নিয়েছি। তারা আমার জন্য অপেক্ষা করবে। ক্যাপিটল হিলে প্রায় ১ ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বের হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এবিষয়ে সংবাদ সংস্থা এপি জানায় যে, অর্ধেকেরও বেশি ডেমোক্র্যাট সিনেটররা মেনেনডেজের পদত্যাগের দাবি করেছেন। যদিও ক্যাপিটল হলে বৈঠকের পর অনেক সিনেটররা জানিয়েছেন, মেনেনডেজ তার পদে থাকার কথা ঘোষণার পর সেখানে সবাই নিশ্চুপ ছিলেন।

মেনেনডেজের বিরুদ্ধে ৩৯ পাতার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। সেখানে মিসরের স্বৈরাচারী সরকারকে তার ক্ষমতার ব্যবহার করে সাহায্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তার বাসা থেকে এক লাখ ডলার মূল্যের ১৩টি স্বর্ণের বার এবং নগদ সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নিউ জার্সির তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুস নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এমন অজস্র অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এবিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিসরে মাংস ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হানা মিট ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত খুব কম মুনাফা করতে পেরেছে। এই ব্যবসায় কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও মেনেনডেজের কল্যাণে যুক্তরাষ্ট্রে একচেটিয়া বাণিজ্যের সুযোগ পায় কোম্পানিটি। ‘মিস্টার হানা’স হালাল মিট বিজনেস’ নামের কোম্পানিটি মিসরের কাছ থেকে বিশ্বব্যাপী ইসলামী আইন মেনে প্রস্তুত করা খাদ্যপণ্য রপ্তানির সুযোগ পায়।

উচ্চপর্যায়ের এক কৃষি কর্মকর্তা জনসম্মুখে এই একটি প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া ব্যবসার কারণে মিসরে খাবারের মূল্যের বৃদ্ধি ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তখন মেনেনডেজ তার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

রবার্ট মেনেনডেজ তার স্ত্রী নাদিন এবং নিউ জার্সির তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লাখ লাখ ডলার এবং স্বর্ণ ঘুস নিয়ে মিসরে ফেডারেল সাহায্য এবং অস্ত্র পাঠিয়েছেন। এ সময় তিনি একটি মার্সিডিজ-বেনজ গাড়িও ঘুস নেন।

র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় মেনেনডেজের ভূমিকা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মার্কিন সিনেটর মেনেনডেজের ঘটনা সামনে আসায় ঢাকায় আমেরিকা পর্যবেক্ষকদের মনে নতুন প্রশ্ন উঠেছে। কেননা মার্কিন সিনেটের উচ্চকক্ষে বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ব্যবহার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেন মেনেনডেজ। ট্রাম্প সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইয়ের কাছে বাংলাদেশে মানবাধিকার হরণে র‌্যাবের ভূমিকার জন্য বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলেছিলেন তিনি।

এনিয়ে রিপাবলিকান সিনেটর টড ইয়ং এবং সিনেটের আরও আটজন সদস্যকে নিয়ে বাংলাদেশের প্যারামিলিটারি বাহিনী র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিতে নেতৃত্ব দেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১০ই ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট র‌্যাব এবং এই বাহিনীর সাত বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকারসংক্রান্ত অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এসময় ২০১৫ সাল পর্যন্ত র‌্যাবের বিরুদ্ধে ৪০০ জনকে হত্যার অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও এসময় তিনি কোনো দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেননি।

তবে রবার্ট বব মেনেনডেজ মিসরে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে ঘুসের বিনিময়ে সহায়তা করেছেন। তার বিরুদ্ধে ৩৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সেসব গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বানের ক্ষেত্রেও তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানুয়ারির আসন্ন সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিরোধীদল থেকে গণমাধ্যম পর্যন্ত ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসছে।

এ পরিস্থিতি দেখে অনেকেই মন্তব্য করছেন, তবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ‘রক্ষা’র দায় যুক্তরাষ্ট্র নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।

তবে এমন রক্ষকের ভূমিকায় থাকা দেশটির একজন সিনেটরের এহেন আমলনামা নানা প্রশ্নের উদ্রেক করা হয়েছে।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed