অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
কমলগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত মা আহত শিশু
নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হয়তো অনেকে কথা বলছেন। পরিবেশ যাতে সুন্দর করা যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করব। পরিবেশের সবটা সুন্দর করার দায়িত্ব তো আমাদের না। পরিবেশ সুন্দর করা আমাদের যেটুকু দায়িত্ব সেটুকু আমরা করে যাচ্ছি।
আজ মঙ্গলবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেন যে, সংবিধান অনুযায়ী ২৯শে জানুয়ারির ২০২৪ তারিখের মধ্যে যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন করতে হবে। কারণ তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূনতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।
তিনি বলেন যে, নির্বাচন কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন করার জন্য, এর জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। প্রস্তুতি কিন্তু আগে থেকে নিতে হয়। যেমন ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে।
যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচন করার জন্য বাক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুই, সুতাসহ নানা ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে, নাকি জানুয়ারিতে হবে সেটি পরের বিষয়।
নির্বাচন যখনই করেন, আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই নিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, আমেরিকা আসবে না, সেটা তো বলেনি। আমেরিকা আসলে আমরা তো খুশি। আমরা তো বলেছি সবাই আসেন। যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন, যে সমস্ত শর্ত আছে সেগুলো পূরণ করলে সবাই আসতে পারবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে তিনি আরোও বলেন, নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও আরো অনেক দেশ আছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোকে (আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা) আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন।
রাজনৈতিক দলগুলো কী ভোটের পথে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট আছে। নির্বাচন চায় না―এমনটা তো কোনো দল বলছে না। আমাদের নিবন্ধিত যে রাজনৈতিক দল আছে, কোনো দলই নির্বাচন চায় না, এটি বলেনি।
আমরা কেনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব না’ বলেও জানান তিনি।
ছবি সংগ্রহ