অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
সময় সংবাদের রংপুর ব্যুরো প্রধান রতন সরকার আর নেই
প্রকৃতির ‘ঝাড়–দার’ শকুন ৩০ থেকে ৪০ বছরে হারিয়ে গেছে। শকুনের পাশাপাশি অন্য প্রাণীরাও হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সর্বশেষ শুমারি মতে, দেশে ২৬০ থেকে ২৬৭টি শকুন আছে। শকুনকে বিলুপ্তি থেকে বাঁচাতে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার ‘বিশ্ব শকুন সচেতনতা দিবস’ পালিত হয়ে থাকে।
মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস ও সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২রা সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জেলার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, মৌলভীবাজার ও আইসিউইএন-এর যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস ২০২৩ এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের বড় পর্দায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে শকুনের উপর একটা ডকুমেন্টরী তুলে ধরা হয়। পরে জেলার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনির শিক্ষার্থী তাহিয়া তাবাসসুম ইসলাম ও দি ফ্লাওয়ার্স কেজি স্কুলের সাদি, অতিথি ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শকুন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আইইউসিএন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া উপ-অঞ্চল প্রধান রকিবুল আমিন, মৌলভীবাজারের প্যানেল মেয়র নাহিদ হোসেন, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আইইউসিএন বাংলাদেশ এ বি এম সরোয়ার আলম, সিলেট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময়ে বক্তরা আরও বলেন যে, ‘দেশে ২৬০টি শকুন রয়েছে। সুন্দরবনের পর শকুনের নিরাপদ আবাসস্থল সিলেট অঞ্চল। এখানের রেমা কালেঙ্গাসহ বিভিন্ন বনের উঁচু গাছগাছালিতে এখনও কিছু শকুন বসবাস করছে। এসব উঁচু গাছপালা কাটা ও পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধে সবার প্রতি আহ্বান জানাই। এ ব্যাপারে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। অন্যতায় দেশ থেকে শকুন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুণ বলেন যে, ‘শকুন না থাকলে প্রকৃতির ঝাড়–দার থাকবে না। আমরা পরিবেশ ও বন হারিয়েছি। জলবায়ূর পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু শকুন ফিরে আসলে হবে না প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,
জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্টেকহোল্ডার ও সাংবাদিক প্রমুখ।