কুলাউড়া প্রতিনিধিঃঃ
স্বামীকে হত্যা করে প্রেমিকের সঙ্গে একই ঘরে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জমি সংক্রান্ত জের ধরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে রুবেল আহমদ (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার (২৩শে জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে কর্মধা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রুবেল উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত ওহাব মিয়ার পুত্র।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আব্দুস সালাম (৩৭), আব্দুল মন্নান (৬৫), চন্দ্রবান বিবি (৪৮), সানুর মিয়া (৩৪) ও রেহেনা আক্তারকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রুবেলের চাচা শ্বশুর আব্দুল মন্নান ও তার দলবলের লোকেরা রুবেলকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
স্বজন, থানা ও স্থানীয়রা জানান, রুবেলের শ্বশুর আব্দুল করিম ও চাচা শ্বশুর আব্দুল মন্নানের বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। রবিবার রাতে রুবেল মোটরসাইকেলযোগে কর্মধায় তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে তার চাচা শ্বশুরের লোকজন বাড়ির পাশে রুবেলের মোটরসাকেলের গতিরোধ করে দা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে আরও তিন থেকে চারজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। পরে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ শিবনাথ ভট্টাচার্য জনি জানান, নিহত রুবেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং তার হাত দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আঘাতের ফলে পেটের পরিপাকতন্ত্র অনেকটা বাহিরে বের হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তকরণের ফলে তার মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।