অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
চীন ও ভারত তাওয়াং সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে
জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২-২৩ উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলা পর্যায়ে জেলার ১১টি উপজেলার ১৪ শতাধিক শিক্ষার্থীরা দু”দিনব্যাপী হাতের কারু কাজ,কবিতা আবৃতি,অভিনয়সহ ১৯টি ইভেন্টে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহনের মাধ্যমে বিজয়ী ৪৭৪ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সদনপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এতে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরােএ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন।
আজ (১৭ই জুলাই) সোমবার বিকেলে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের হাতের কারু কাজ,কবিতা আবৃতি,অভিনয়সহ ১৯টি ইভেন্টের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহন শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির যৌথ আয়োজনে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়নে আলোচনা সভা সদনপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এই জেলা পর্যায়ে ১৯টি ক্যাটাগরিতে প্রথমস্থান অধিকারী ১৯জন বিজয়ীকে আগামী ২১ ও ২২ জুলাই সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে বলে জানানো হয়। গতকাল ১৬ই জুলাই রোজ রবিবার সকাল থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার মাধ্যমে দু”দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার শেষ হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জেলা শিক্ষা পরির্দশক সারোয়ার আলম, জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী,জেলা ক্রীড়া অফিসার আল আমীন,ডিস্ট্রিক ট্রেনিং কো অর্ডিনেটর সারোয়ার জাহান খান,সঙ্গীত প্রিয় এড. অলক ঘোষ চৌধুরী,শিশু একাডেমির সঙ্গীত শিক্ষক মো. শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ। বলেন,সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত সুনামগঞ্জে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এরমধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে হাতের কারু কাজ,আবৃতি,অভিনয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কাজেই প্রতিটি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দরা তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলা,আবৃতি,কারুকাজ, গানবাজনা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে মনোযোগী হয়ে তাদের আগ্রহ সৃষ্টি করে তোলা। মনে রাখতে হবে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তৈরী করা আগামীদিনের নতুৃন স্মার্ট ও ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমান প্রজন্মের শিশুরাই নেতৃত্ব দিবে। তিনি আরো বলেন,অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় সংস্কৃতির উর্বর রাজধানী খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যন্য উদাহরণ।
তিনি উপস্থিত সকলকে নিজেদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে ৪৭৪ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দরা।
পরে কারু কাজে প্রথমস্থান অধিকারী সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এবং মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর তালুকদারের ছেলে তুর্জয় শেখর তালুকদারসহ সকল বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা সনদপত্র ও ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দরা।