অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
কমলগঞ্জে সেতু আছে , রাস্তা নেই
সময় সংবাদের রংপুর ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি রতন সরকার (৪৮) মারা গেছেন।
তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে যান সহকর্মীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
গতকাল (১৩ই জুলাই) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি মা, বাবা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রংপুরে বসবাস করলেও রতনের পৈত্রিক নিবাস নীলফামারীতে। তিনি নীলফামারী শহরের প্রগতিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। রাতেই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জন্ম স্থান নীলফামারীতে। সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।
রতন সরকার সময় সংবাদের রংপুর ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নগরীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন সিনিয়র এ সাংবাদিক। তার অকাল মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পেশাগত জীবনে রতন সরকার ১৯৯০ সালে নীলফামারী থেকে প্রকাশিত সপ্তাহিক নীলসাগর পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। এরপর তিনি দৈনিক মাতৃভূমি, দৈনিক করতোয়া, রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিজলী পত্রিকায় কাজ করেন। পরবর্তীতে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ, ডিবিসি ও সময় টেলিভিশনে কাজ করেন। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে সময় টিভিতে দায়িত্ব পালন করেন রতন সরকার।
তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে যান সহকর্মীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
সময় সংবাদের রংপুর প্রতিনিধি ও রতন সরকারের সহকর্মী রেদওয়ান হিমেল জানিয়েছেন, তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালের ফ্লাইটে ঢাকায় এসেছিলেন রতন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবীর বিন আনোয়ার (সাবেক কেবিনেট সচিব ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা বিকেলেই আবার ফিরে যান। সৈয়দপুর হয়ে রংপুর ফিরে সবাই একসঙ্গে চা খেতে বসেছিলেন। সে সময় রতন সরকার অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে তিনি সন্ধ্যায় স্ট্রোক করলে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রংপুরে বসবাস করলেও রতনের পৈত্রিক নিবাস নীলফামারীতে। তিনি নীলফামারী শহরের প্রগতিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। রাতেই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জন্ম স্থান নীলফামারীতে। সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।
তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে যান সহকর্মীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
রতন সরকার জীবদ্দশায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঘোষিত ১৪ দফার একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন।
বিএমএসএফ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রতন সরকার ছিলেন, সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি একজন অকুতোভয় সাংবাদিক ত্যাগী, জ্ঞানী গুণী এবং সাংবাদিকদের প্রশিক্ষক ছিলেন।
সমাজের জন্য তার অবদান রংপুরবাসী সহ সাধারণ জনগণ কখনই ভুলবেনা। তার বিচক্ষণতা সাংবাদিকদের আলোর প্রদীপ হয়ে আগামী দিনে কাজ করবে বলে আশা করবে।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, রংপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে সহ: প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হীমেল কুমার মিত্র শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তাঁর বিদেহী রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।