অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা
মাত্র ১০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে খুলনা অঞ্চলের তরমুজ চাষীদের স্বপ্নভঙ্গ ।
সমিতিও মহাজনি সুদে টাকা নিয়ে অধিক লাভের আশায় তরমুজ চাষ করেছিলাম।
গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে লুকসান গুনতে হয়েছিল।
তবে এবছর তরমুজের ফলন দেখে প্রতিটা কৃষকের মনে আশা জেগেছিল গত বছরের লোকশান পুষিয়ে অধিক লাভ ঘরে তুলে এবছর মহাজনি সুদের ঋণ পরিশোধ করতে পারব।
কিন্তু সে আসার গুড়ে বালি পরলো মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে। আরএ শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ৩শ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে লাভের লক্ষ্যমাত্রা বাধা সৃষ্টি হয় দুশ্চিন্তাও হতাশায় পড়েছে এলাকার কৃষকরা
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানিয়েছে খুলনা জেলার দক্ষিণাঞ্চলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষীদের স্বপ্ন বিস্তার করলেও মাত্র ১০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে ম্লান হয়ে গেল কৃষকদের লালন করা সব আশা ভরসা।
স্থানীয় কৃষি অফিসার তপন মজুমদার বলেছেন এই মুহূর্তে যদিও বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল তরমুজের মাঠে
কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত শিলা বৃষ্টিতে তছনছ করে দিল সবুজের চাঁদরে ঢাকা
খুলনা জেলার কয়রা চালনা বটিয়াঘাটা এলাকার কয়েকশ হেক্টর জমির তরমুজ।
তিনি আরো বলেন এই এলাকার অধিকাংশ কৃষকেরা তরমুজ চাষের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার কারণে বেশ কয়েক বছর যাবত তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ এলাকার চাষীরা আগ্রহ বাড়িয়ে অনেক পতিত জমিতেও তারা এ ফসল চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
এই এলাকার তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় খুলনা দক্ষিণাঞ্চল সহ দেশের অন্যান্য জেলা গুলোতেও এই এলাকার তরমুজ সরবরাহ করে অর্থ উপার্জন এর মাধ্যমে লাভবান হচ্ছে এখানকার কৃষকরা।
সাথে সরকারের রাজস্ব খাতেও আয় হচ্ছে কম না।
এদিকে দাকোপ উপজেলার কৃষক দীপক বিশ্বাস চলমান বাংলাদেশকে জানিয়েছেন টানা ৪-৫ বছর আমাদের এলাকায় তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় আগ্রহের সাথে এ সকল এলাকার অনেক পতিত জমিতেও আমরা তরমুজ চাষের আগ্রহ বাড়িয়ে পরিশ্রম করে লাভের আশায় এই ফসলের দিকে ঝুকেছি।
কিন্তু গত বছর তরমুজ বেশি ফলন হলেও আমরা আশাজনক ভাবে লাভ করতে পারেনি তার কারণ মাঠ জুড়ে পর্যাপ্ত ফল থাকলেও আমাদের এখানে ছিল না দেশের বহিরাগত দূর দূরান্তের পাইকার । তাছাড়া পরিবহন খাতে খরচ বেশি থাকার কারণেও আমরা খুলনার বাইরে কোথাও তরমুজ নিয়ে যেতে সাহস পায়নি। সে ক্ষেত্রে অধিকাংশ কৃষকদের ফসল মাঠে থেকে পচে নষ্ট হয়েছে।
এবারও লক্ষ্যমাত্রা অনুপাতে যথেষ্ট পরিমাণে ভালো ফসল হয়েছিল যা বিক্রি করে আমরা অধিক লাভ করে ঘরে তুলতে পারতাম।
তবে অনাকাঙ্ক্ষিত শিলা বৃষ্টি এসে আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙে তছনছ করে দিয়ে গেল।
উল্লেখ্য খুলনা জেলার যে সকল এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে তরমুজ নষ্ট হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়রা চালনা ও বটিয়াঘাটা এলাকার কিছু অংশ যা প্রায় ৩ থেকে ৪শ হেক্টর জমি। আর আর্থিক দিক থেকে হিসাব করতে গেলে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা।
যা এলাকার দরিদ্র কৃষকদের কাঁধে এবছরও ঋণের বোঝা হয়েছে চেপে বসলো।
তবে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছে শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারনে কি পরিমানে গাছও তরমুজের ক্ষতি হয়েছে তা আরও ১০-১৫ দিন না যাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।