অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
বলিউড কাঁপানো অসংখ্য নায়িকা ভারতে জন্ম নয়
ওদের ভাতে মারবো ওদের পানিতে মারবো। ওদের অত্যাচার আর মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। লঞ্চ চলবে স্টিমার চলবে রেল চলবে।
শুধু সকল সরকারি অফিস আদালত বন্ধ থাকবে। আপনারা যারা এখনো বেতন পান নাই তারা আগামীকাল বেতন নিয়ে আসবেন।
রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বিশ্ববরেণ্য অকুতোভয়ী সৈনিক বজ্রকণ্ঠের আপসহীন নেতা বাংলার কোটি কোটি মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর প্রাণ প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের রেসকোর্স ময়দানে তার অলিখিত আঠারো মিনিট বক্তৃতা কালে বঙ্গবন্ধু তখন তাঁর চশমাটি খুলে ডায়াসের উপরে রেখে যে ভাষণ দিয়েছিলেন সে ভাষণে সারা বিশ্বকে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছিল। আর তখন সারা বিশ্ব বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিশ্ব সমাদৃত বজ্রকণ্ঠের বলিষ্ঠ স্পষ্ট ভাষার প্রতিবাদী বক্তৃতা কে অনুধাবন করেছিল।
আর ৭ই মার্চকে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্ব আজও বুকে ধারণ করে সেটি পালন করে আসছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের কারণে।
১৯৭১ সালের এই দিনে সরোয়ারদী উদ্যানে তদানান্তিন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীনতার সংগ্রামের ডাক দেন। এদিনে লাখো লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠের ঘোষণা করেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের টানা ১৮ মিনিটে বক্তৃতার মাঝে এই উক্তিটি বারবার উল্লেখ করে তৎকালীন পাকিস্তানি পরাশক্তিকে হুঁশিয়ারি করে দিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন।
এবং বঙ্গবন্ধু এটাও বলেছিলেন তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তী স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ মন্ত্রের রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলে নয় জাতিদের সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়া ও ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষা অনূদিত হয়েছে। একাত্তরের সাত মাস বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দ্রিপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা।
তখন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার লাখো লাখ নিরস্ত্র বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি পরাশক্তির হাত থেকে দেশ মাতৃকাকে মুক্ত করার জন্য প্রাণের মায়া ছেড়ে যে যেখানে ছিল সেই অবস্থান থেকে যুদ্ধ শুরু করেছিল এবং দীর্ঘ নয়মাস বিরামহীন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের আত্ম বলিদান ও অসংখ্য মা বোনদের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি ইয়া হিয়া খান কে পিছু হটিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হয়।
বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ই মার্চের ভাষণ আজও বাংলাদেশের লিখিত দলিল হিসাবে লিপিবদ্ধ যা আজকের যুব সমাজ তথা ও নতুন প্রজন্মের মাঝে আমাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে দেওয়া একান্তই কর্তব্য। তারই প্রত্যয় আজ খুলনায় নানান সংগঠন নানান কর্মসূচির আয়োজন করে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা উদযাপনের লক্ষ্যে খুলনা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনা বিভিন্ন কর্মসূচি অংশগ্রহণ করা হয়েছে।
আজ রাতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। এবং সুবিধাজনক সময় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৭ মার্চের প্রদত্ত ভাষণ প্রচার। জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে দিবস টি উপলক্ষে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করছে।
আজ সকাল দশটায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। দিবস উপলক্ষে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বিকাল তিনটা বিশ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সাজে সজ্জিত হয়ে ১৯২০ জন খুজে বক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্তৃক প্রদত্ত
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ পরিবেশন করবে।
পাশাপাশি খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাতটায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন দলীয় কার্যালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান অতঃপর র্যালি সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এছাড়া নগরীর প্রত্যক ওয়ার্ড অফিস ইউনিট অফিস এবং মোড়ে মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ও দেশাত্মবোধক গান প্রচার আয়োজন ও নামাজের সময় বাদে ও সন্ধ্যা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপরে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী সংগঠনের সূত্র থেকে।