অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
এবার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জন্য জান্নাত চাইলেন সেই আঃ লীগ নেতা
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা এলাকাধীন সুরমা নদীর টুকেরঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পে মাটি সরবরাহের কথা বলে অনুমোদনহীন ড্রেজার পরিচালনা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা ভরাটের মহোৎসব চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরেই।
রাজনৈতিক প্রভাবশালী উল্লেখ করে স্থানীয়দের ভয় ভীতি দেখিয়ে চলা এই ড্রেজার প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি অপরিকল্পিত কার্যক্রম থাকার পরেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেও প্রতিকার পাননি। জেলা প্রশাসন এই ড্রেজার পরিচালনার কোন অনুমতি না দেয়ার পরও গেলো কিছুদিন ধরে অনেকটা প্রভাব খাটিয়েই চলছিলো নদী থেকে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির রমরমা ব্যবসা।
তবে ২৬/২/২৩ ইং রোববার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পরে টুকেরঘাট পয়েন্টের ড্রেজারটি। জরিমানা গুনতে হয় দেড় লক্ষ টাকা। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক আরডিসি মো. সাইফুল ইসলাম অভিযান পরিচালনার সময় ড্রেজার পরিচালক হাবিব কে প্রশ্ন করলে অনুমোদন না থাকার বিষয়টি হাবিব স্বীকার করে।
পরে আর কখনো অনুমোদন ব্যাতিত ড্রেজার পরিচালনা না করার মুচলেকা ও জরিমানার দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে ছাড়া পান ড্রেজার পরিচালক। বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা অনুযায়ি এই দন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এসময় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ সদস্যরা আদালতকে সহায়তা করেন। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই এই অনুমোদনহীন ড্রেজার পরিচালনা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন টুকেরঘাট বাজারের ব্যবসায়ি সমিতি ও ও দুই পাড়ের সাধারণ মানুষ,ড্রেজার ব্যাবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় অপরিকল্পিত ড্রেজার পরিচালনায় টুকের বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বরকত আলী ইমন নাম এবং গং দিয়ে উল্লেখ করে পরিকল্পিতভাবে চাঁদাবাজীর মামলা ও দায়ের করে মামলার ২ নং আসামী বরকত আলী ইমন কে এরেষ্ট করে কারাগারে ও পাঠানো হয়,পরে মামলার চার্জশিট আর ৩ জন টুকের বাজারের ব্যাবসায়ীর নাম সংযোজন করা হয়,তারা হলেন টুকের বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিমউদদীন, বাচ্চু মিয়া,মমীন মিয়া পীর। বর্তমানে মামলায় সকল আসামী জামিনে আছেন । ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অবৈধ ড্রেজার অপরিকল্পিত ভাবে পরিচালনা ভ্রাম্যমান আদালত কর্তক বন্ধ ও জরিমানা হওয়ায় টুকের বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি ও নদীর ২ পাড়ের মানুষ খুবই খুশি।