অনলাইন ডেস্ক নিউজ::
ধানের শীষ মার্কা নিয়ে ভোট করে বিএনপির সমলোচনা করলেন সুলতান
পাক-সেনাবাহিনী পরিবর্তন শুরু করেছে। আশা করি রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের আচরণ নিয়ে ভাববে। পাকিস্তানের বিদায়ি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বুধবার প্রতিরক্ষা ও শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।
১৯৬৫ইং সালের পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধে নিহত সেনাদের আত্মত্যাগের স্মরণে প্রতিবছর ৬ সেপ্টেম্বর রাওয়ালপিণ্ডির সেনা সদর দপ্তরে প্রতিরক্ষা ও শহীদ দিবস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বন্যার্তদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এ বছর তা স্থগিত করা হয়েছিল।
জেনারেল বাজওয়া তার বক্তৃতার শুরুতে বলেন যে, আজ আমি শেষবারের মতো সেনাপ্রধান হিসেবে প্রতিরক্ষা ও শহীদ দিবসে ভাষণ দিচ্ছি।
বক্তৃতার শেষ অংশে বিদায়ি সেনাপ্রধান
বলেন যে, তিনি রাজনৈতিক বিষয়ে কিছু কথা বলতে চান। জেনারেল বাজওয়া বলেন যে, সারা বিশ্বের সেনাবাহিনী খুব কমই সমালোচিত হয়। কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনী প্রায়ই সমালোচনার শিকার হয়। আমি মনে করি, এর কারণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা। সে কারণেই ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জেনারেল বাজওয়া বলেন যে, ‘অনেক মহল সেনাবাহিনীকে সমালোচনার মুখে ফেলেছে এবং অযথার্থ ভাষা ব্যবহার করেছে। সেনাবাহিনীর সমালোচনা করা (রাজনৈতিক) দল এবং জনগণের অধিকার, তবে ভাষা ব্যবহার করায় সতর্ক থাকা উচিত।’
বাজওয়া বলেন যে, একটি ‘মিথ্যা বর্ণনা’ তৈরি করা হয়েছিল যেখান থেকে এখন ‘বের হয়ে আসার’ চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে পাকিস্তানের বিদায়ি সেনাপ্রধান বলেন যে, সেনাবাহিনী তার পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং আশা করে রাজনৈতিক দলগুলোও তা অনুসরণ করে বিষয়টি নিয়ে ভাববে। এটি বাস্তবতা যে, রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভুল করেছে।
জেনারেল বাজওয়া আরও বলেন যে, দেশ গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি এবং কোনো একক দল দেশকে আর্থিক সংকট থেকে বের করতে পারবে না।
পাক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অবশ্য প্রয়োজন। সময় এসেছে সব রাজনৈতিক অংশীজনদের অহংবোধ দূরে সরিয়ে রেখে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এবং পাকিস্তানকে এই সংকট থেকে বেড় হয়ে আসতে হবে।