অনলাইন ডেস্ক নিউজ::
ভিত্তিহীন উদ্ধৃততিতে ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী : মন্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ক্ষুব্ধ
ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ডের ভূ-খণ্ডে গতকাল মঙ্গলবার রাতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেনজুড়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল রাশিয়া।
তবে ঘটনায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো এবং শিল্পোন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জোট জি-৭।
ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডে সত্যিই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে যুদ্ধ আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে,
গতকাল মঙ্গলবার রাতে পোল্যান্ডে পড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়া থেকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার বলার সময় এখনই এসেছে কি না―ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে জো বাইডেন বলেন যে, প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণে এটা সন্দেহ হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ তেমনটা বলে না। নিশ্চিত হতে আমরা আরও অপেক্ষা করব।
তবে প্রাণঘাতী এ বিস্ফোরণের ঘটনায় আজ বুধবার (১৬ই নভেম্বর) জোটের সদস্যদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। মঙ্গলবার ন্যাটোর মুখপাত্র ওয়ানা লুঙ্গেসকু এসব কথা জানান।
পোল্যান্ড ন্যাটো দেশ হওয়ায় সেখানে সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার বিষয়টি বিশেষ উত্তেজনার
সৃষ্টি করে। এ কারণে ইউক্রেন সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নিয়ে কথাবার্তা চলে। কারণ ন্যাটোর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক সদস্য দেশের ওপর হামলা হলে জোটের ওপর আক্রমণ বিবেচনা করে সম্মিলিতভাবে তার জবাব দেওয়ার কথা।
অন্যদিকে পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের
ঘটনায় আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছে শিল্পোন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জোট জি-৭। এই জোটের দেশগুলো হলো—কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র
সীমান্তে বিস্ফোরণের বিষয়ে এক বিবৃতিতে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে দেশটির ভূখণ্ডে ‘রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র’ এসে পড়ে। এতে সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে দুজন নিহত হন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লুকাস জাসিনা
বলেছেন, এ ঘটনায় অনতিবিলম্বে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পোল্যান্ডে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
এ বিবৃতিতে কোন দেশ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের বাহিনীই রাশিয়ার তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করে আসছে।
তবে প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার দিকে ইঙ্গিত করা হলেও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেছেন, কে দায়ী সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ হাতে নাই।