অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
ঢাবি ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ
দেশের সাংবাদিকতা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের মন্তব্যকে ‘অসৌজন্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। একই সঙ্গে তারা ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গত রবিবার (৩০শে অক্টোবর) ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে অবিলম্বে এ ধরনের অসম্মানজনক মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
তবে এক বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা বলেন যে, নিজের দুর্বলতা ঢাকতে সাংবাদিকদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন মাননীয় মন্ত্রী। দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে একজন মন্ত্রীর এ ধরনের অসম্মানজনক মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখ ও ন্যাক্কার-জনক। এ ধরনের মন্তব্য মন্ত্রীর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন বৃত্ত । মন্ত্রী হিসেবে নিজ মন্ত্রণালয়ের কাজে মনোযোগী না হয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে মন্তব্য করা অনভিপ্রেত।
সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যম নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠোর হতে বাধ্য করা হয়।
তবে ডিইউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। এটা তাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আমি অনেক সাংবাদিকদের বলেছি আপনাদের এই নিয়ে গবেষণা করা উচিত। কেন এতো নিম্নমানের এই সাংবাদিকতা। এইটা আপনাদের জন্য দুঃখের বিষয়
গত ২৬শে অক্টোবর ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যুদ্ধের অর্থনীতি। যুদ্ধ ছাড়া তাদের অর্থনীতি চলবে না। এ জন্য বিশ্বের কোথাও না কোথাও তারা যুদ্ধ-বিগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছে।
অধ্যাপক মীজানুর রহমান বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রতিবাদ জানায় এবং ভুল তথ্য প্রত্যাহারের জন্য গণমাধ্যম গুলোকে অনুরোধ করা হয়। ২৭শে অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘প্রতিবাদলিপি প্রেরণের পরও কিছু মিডিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে অসত্য ও ভিত্তিহীন উদ্ধৃতি দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার দুঃখজনক’ শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
গত ২৯শে অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী গোপালগঞ্জ সফরকালে ২৬শে অক্টোবরের ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন যে, গত ২৬শে অক্টোবর প্রেস ক্লাবে কলামিস্টদের এক অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি ১৭টি গণমাধ্যম তা নিয়ে যে হেড লাইন করেছে তার সঙ্গে আমার বক্তব্যের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। আমি সেখানে নাকি ‘আমেরিকাকে যুদ্ধবাজ’ বলেছি। ১৭টি গণমাধ্যমই মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য দিয়েছে।
তবে সাংবাদিকদের ‘দুর্বল’ ও ‘অপরিপক্ক’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। তাদের পরিপক্কতা দরকার। সাংবাদিকরা যারা এটা করেছেন তাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আর আপনাদের (গোপালগঞ্জের সাংবাদিকদের) এটা জন্য দুঃখের বিষয়।
আপনাদের সহকর্মীরা এ ধরনের বানোয়াট কথা বলেন।
মন্ত্রী আরোও বলেন যে, সাংবাদিকরা হয় বাংলা বোঝেন না অথবা ইচ্ছা করে এ ধরনের মিথ্যা
প্রচারণা করেছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে।
মিথ্যা প্রচারণার ফলে যে অসুবিধা হয়েছে তা হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা তাদের শত্রু। যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে।