কমলগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলায় প্রতিবাদ সভা, আটক২
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মোটারসাইকেল আটকিয়ে দৈনিক খবরপত্র কমলগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল বাছিত খাঁনকে দেশি আস্ত্র (দা) দিয়ে গত শনিবার (১৩ই আগস্ট) বেলা দেড়টায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছিল ৩জন সন্ত্রাসী। এ ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার (১৫ই আগস্ট) রাতে আহত সাংবাদিকের চাচা আব্দুল খারিক বাদি হয়ে ৬ জনকে এজহারভুক্ত আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় হত্যার চেষ্টায় একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার রাতে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ সন্দেহমূলকভাবে আটক করে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা দুইজন বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত তাহিদ মিয়ার ২ ছেলে আকলিছ মিয়া (৪১) ও মকবুল মিয়া (৩৮) এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের দায়ের কুপে সাংবাদিক বাছিতের ডান হাত দেহ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন কাঁদে ও পায়েও গুরুতর আগাত সৃষ্টি হয়। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাত ও রোববার দিনে দুই দফা অস্ত্রোপচারের পর সাংবাদিক বাছিতের অবস্থা আগের চেয়ে এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানান চিকিৎসকরা।
সোমবার রাতে সাংবাদিক বাছিতের চাচা আব্দুল খালিক বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে হত্যার চেষ্টায় হামলা অভিযোগ করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পূর্বে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণকৃত এজহারভুক্ত ১ নং ও ২ নং আসাম আকলিছ মিয়া (৪১) ও মকবুল মিয়া (৩৮)কে গ্রেফতার দেখানে হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনায় মামলা হওয়ার ও দুইজনক গ্রেফতার দেখানোর সত্যতা নিশ্চিত করে মঙ্গলবার বিকেলে এ প্রতিনিধিকে বলেন, তদন্তে বেশ উন্নতি আছে। তাই মূল আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য যে, শনিবার দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল বাছিত খান দূর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন। দূর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাত্ত জখম করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।