অনলাইন ডেস্ক নিউজ।।
দেশে ঈদের আগে ও পরে মহাসড়কে সাতদিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন অর্ধশতাধিক বাইকার।
আজ ৫ই জুলাই মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান। আয় কমার ভয়ে মহাসড়কে বাইক বন্ধ করিয়েছেন বাসমালিকরা, এমন অভিযোগও করা হয়েছে এই মানববন্ধন থেকে।
মানবন্ধনে বাইকার মোঃ ফখরুদ্দিন মানিক বলেন যে, মোটরসাইকেল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি অপরিহার্য বাহন, যা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও মোটরসাইকেল আমাদের প্রাত্যহিক জীবন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মোটরসাইকেল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন। হেলমেট এবং আনুষঙ্গিক নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার করে এবং ট্রাফিক আইন কানুন মেনে চললে সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
এবিষয়ে তিনি আরও বলেন যে, সাধারণত প্রতি ঈদেই লাখো মানুষ পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে ঘরমুখী হয়ে থাকে। যদিও আমাদের যোগাযোগ ও সাধারণ পরিবহণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে ঈদযাত্রা কষ্টদায়ক হয়ে থাকে।
সেই জন্য অনেকেই নিজস্ব পরিবহণ ব্যবহার করে থাকে, তার মাঝে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অধিক। কিন্তু এই ঈদে লাখো মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী তার পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই আমরা অবিলম্বে বিধিনিষেধটি পুনর্বিবেচনা করে যথার্থ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।
তবে ফেসবুকে বাইকারদের একটি গ্রুপের অ্যাডমিন মমিন তাজ মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে বলেন যে, মহাসড়কে মোটরসাইকেল বন্ধের পেছনে বাস মালিকদের হিংসাত্মক মনোভাব রয়েছে।
তবে বাস মালিকদের ঈদে আয় কমে যাওয়ার ভয় থেকেই তারা উপর মহলে চাপ সৃষ্টি করে এই বাইক চলাচল বন্ধ করেছে।