পদ্মা সেতুর নাট বল্টু খোলে ওই ছেলেটি আটক
অনলাইন ডেস্ক নিউজ।।
জাকীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ২০২২-২৩ইং অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সংসদে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেন।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে নো পার্টি, এটা একটি প্ল্যাটফর্ম। তাদের কোন রাজনৈতিক দর্শন নেই। দর্শন হচ্ছে একটা সরকার ও ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলা। তাদের রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কীভাবে পাকিস্তানের বন্ধুদের খুশি রাখা যায়।
তা এ রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য। কিন্তু সেটা এই দেশে কোন দিন সফল হবে না।
আজ (২৬শে) রবিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ইং অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্য ফ্রন্টের শরিক গণফোরামের মনোনীত প্রার্থী দলটির প্রতীক উদীয়মান সূর্য প্রতীকে ভোট না করে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে ভোট করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে এ সংসদ সদস্য বলেন, এ দলের কোন নেতৃত্ব নেই। বাছুররা এ দেশে আসতেও পারবে না, তাদের হাতে বাংলাদেশে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগও থাকবে না।
তিনি আরও বলেন যে, এই সংসদে বলেছিলাম জাতির পিতাকে যারা মেনে নিবে তারাই শুধুমাত্র রাজনীতি করতে পারবে, ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ থাকবে। তাছাড়াও আর কোন সুযোগ থাকবে না।
তবে স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে যে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা রয়েছে, সেটা এগিয়ে যাবে। আগামী নির্বাচনেও সংসদ নেত্রীর নেতৃত্বে জনগণ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আনবে। এই দেশে সুশাসন ও উন্নয়ন একত্রে হবে। উন্নয়নের আগে আমাদের অবশ্যই সুশাসন নির্দিষ্ট করতে হবে।
দেশ থেকে টাকা পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করে, সেই টাকা দেশে ফেরত আনার জন্য তাদের উৎসাহিত করতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করে তিনি।
আওয়ামী লীগের এ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন যে, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তোমার আমার ঠিকানা এই স্লোগানকে ধারণ করে যে রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জীবন শুরু করেছিলাম, সেই পদ্মায় শনিবার সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তারাই কন্যা শেখ হাসিনার হাতে পদ্মা সেতুও উদ্বোধন হয়েছে।
তিনি বলেন যে, বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট সফর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছিলেন বন্যার্তদের জন্য কাজ করতে। কিন্তু পদ্মা সেতুকে উদ্বোধন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল, বড় দল, এখানে আমার এক ভাই, তিনি চলে গিয়েছেন। তাদের দল পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছে। তারা কি পদ্মা সেতু দিয়ে যাবে না? ২০০১ইং সালের পরে তাদের সরকার পদ্মা সেতুর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল।
২০১৪ইং সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে আজকের সরকার ক্ষমতায় আসার কারণে শত ষড়যন্ত্রের মাঝেও পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের পরে কোনও দিনকে যদি ঐতিহাসিক দিন হিসাবে মনে করি, তাহলে সেটি হবে ২৫শে জুন।
তবে যে দলের লোকেরা সমালোচনা করেন, তাদের দল এক সময় চীনের বন্ধুত্ব পাওয়ার জন্য, চীনের সঙ্গে তাদের দলের সন্ধি হয়েছিল, আত্মীয়তা করেছিল। সেই চীন তো পদ্মা সেতু প্রকৌশলগত সাহায্য করছে। যদিও মরহুম ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে দেশের প্রকৌশলীরা কাজ করেছেন। কিন্তু চীন সহযোগিতা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, বিশ্বব্যাংকসহ সব দেশই পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাঙালি যেটা দৃঢ়চিত্তে চেতনাবোধের মধ্যে নির্ধারণ করে সেটার বাস্তবায়ন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন। সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের আন্তর্জাতিক বন্ধুরা যেখানে অভিনন্দন জানিয়েছেন, কিন্তু তাদের দলের নেতারা বিভিন্নভাবে কথা বলছেন।
তবে বন্যায় সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিএনপি নেতাদের এমন দাবির প্রতি ইঙ্গিত করে ধানের শীষ মার্কায় বিজয়ী এই এমপি বলেন যে, সরকারের সক্রিয়তা না থাকলে সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনযন্ত্র কীভাবে মানুষের সেবায় কাজ করলো? শুধু বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা নয়।
ভারত বিরোধিতা করে, শেখ হাসিনাকে বিরোধিতা করে, সরকার বিরোধিতা করে রাজনীতি কোনও দিন হতে পারে না বললেন।