অনলাইন ডেস্ক নিউজ।।
সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনে আগুন
উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সিলেট সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা। দেখা দিয়েছে এক মানবিক বিপর্যয়। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন সব লোকজন।
তবে বিশেষ করে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ছাড়াও মেঘালয়ের সীমান্তঘেঁষা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, দুয়ারা বাজার, ছাতক, সুনামগঞ্জ সদরসহ বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষজনের বাড়িতে এখন গলা পানি। বন্যা পরিস্থিতি এত ভয়াবহ যে, এখন ত্রাণের চেয়ে প্রাণ বাঁচানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
আজ ১৭ই জুন শুক্রবার সকাল থেকে সিলেট সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সেনাবাহিনীকে তলব করেছে জেলা প্রশাসন। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন যে, পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেছে।
আমাদের প্রধান কাজ হলো বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করা। বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিল।
তবে সিলেটে দ্বিতীয় দফা বন্যায় নগরীসহ ১৩টি উপজেলার সব ক’টি এলাকা তলিয়ে গেছে, খবর নিয়ে এমনটাই জানা গেছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে মানুষ এখন দিশেহারা।
আরও পানিতে ডুবে আছে কোম্পানীগঞ্জ, লামাকাজী, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, ওসমানীনগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।এ সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টেলিভিশন সূত্রে জানা যায় যে, সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপরে এবং অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়তেছে।
সুনামগঞ্জ থেকে আকবর আলী বলেন যে, এত পানি জীবনে কোনো দিন দেখিনি। এটা মানবিক বিপর্যয়। মানুষকে খাবার দেওয়ার আগে উদ্ধার করা অতি জরুরী।