1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
মাগুছড়ায় গ্যাসকূপে আগুন লাগার ২৫ বছর - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
কমলগঞ্জে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)এর উদ্বোধন কমলগঞ্জে সিএনজি চালককে ফিল্মি স্টাইলে মারধর থানায় অভিযোগ কমলগঞ্জে মুসলিম এইড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান গোপালী হাসিনার চোখে ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল বলেন, সারজিস আলম কমলগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পন কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের সমাবেশে আসছেন সারজিস আলম কমলগঞ্জে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদিকে হুমকি মেয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা শুনে বাবার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু কমলগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা কমলগঞ্জে পৈতৃক সম্পদ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ২

মাগুছড়ায় গ্যাসকূপে আগুন লাগার ২৫ বছর

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২
  • ৫৯৫ বার দেখা হয়েছে

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের  উদ্ধার হওয়া দু’টি কচ্ছপ অবমুক্ত

অনলাইন ডেস্ক নিউজ।।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ১৯৯৭ইং সালের ১৪ই জুন মাগুরছড়া গ্যাসকূপ বিস্ফোরণ ঘটে চা বাগান, বনাঞ্চল, বিদ্যুৎলাইন, রেলপথ, গাড়ীর রাস্তা,পায়ে হাটার রাস্তা, গ্যাস পাইপলাইন, গ্যাসকূপ, রিজার্ভ গ্যাস, পরিবেশ প্রতিবেশ, ভূমিস্থ পানি সম্পদ ও ধানগাছ গুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

বিস্ফোরিত আগুনের তেজস্ক্রিয়তায় গলে যায় রেলপথসহ আগুনে পুড়ে ছাই  হয়ে যায় কোটি কোটি টাকার বনজ সম্পদ নষ্ট হয়ে যায় হাজার হ্জার হেক্টর চাষ করা জমি। মারা যায় হাজার হাজার বন্যপ্রাণী, সাপ ও পাখী।

সেই ভয়াল ঘটনার আজ প্রায় ২৫ বছর অতিক্রম করে ২৬ বছরে পা দিয়েছে। আর মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে এখনোও ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে সোচ্চার রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলো।

এ বিষয়ে তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির জানিয়ে ছিলো, বিস্ফোরণে পুড়ে যায় ভূ-গর্ভস্থ উত্তোলনযোগ্য ২৪৫.৮৬ বিসিএফ গ্যাস।
তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, মার্কিন কোম্পানী অক্সিডেন্টালের অবহেলার কারণে ওই দূর্ঘটনাটি ঘটে। তখকার সময় যার ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান বাজার দরে তা লক্ষ কোটি টাকার বেশি হবে।

স্থানিয় এলাকাবাসীরা জানান যে, আন্তর্জাতিক আদালতে শেভরনের বিপক্ষে হুইলিং মামলায় পেট্রোবাংলার বিজয় হয়েছে। এই উদাহরণকে সামনে রেখে ১৯৯৭ সালে অক্সিডেন্টালের উত্তরসূরী শেভরনের ওপর গ্যাস সম্পদ ও পরিবেশ ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আরো একটি মামলা করা এখন সময়ের দাবি মাত্র। আর এ মামলার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে তাদের দ্বারা অপূরণীয় ক্ষতির কিছুটা অংশ।

তবে একই সাথে স্থানীয় তেল গ্যাস ও পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি মাধ্যমে শুনাযায় যে, অক্সিডেন্টাল বাংলাদেশের সম্পদ নষ্ট করে বীমা কোম্পানীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে। আর মাগুরছড়া বিস্ফোরণে ক্ষতির নায্য দাবির জন্য ডকুমেন্টসহ বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে তা আদায় করতে প্রথমে নোটিশ ও পরে মামলা করতে পারে। এতে আমাদের বিজয় হবেই।

তিনি আরও বলেন যে, বাংলাদেশের গ্যাস উত্তোলনে দেশের পাইপ লাইন ব্যবহার করে টাকা না দেয়ার জন্য খোড়া যুক্তি দেখিয়ে শেভরন আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালত তাদের এই অহেতুক যুক্তিকে নাচক করে রায় দেয় পেট্রোবাংলার পক্ষে।

আর সেই মামলা চালাতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা আর রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ইউনিকলের কাছ থেকে পাচ্ছে বছরে প্রায় দুই হাজার সাত শত কোটি টাকা।

এ বিষয়ে পরিবেশবাদিরা জানায় যে, বলেন, অগ্নিকাণ্ডে এ বনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনও পূরণ করার মতো নয়। ওই সময় বনের যে সকল পশু পাখি মারা গেছে তা আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। আগুন লাগার পরে লাউয়াছড়া ও মাগুরছড়ার পাহাড়ি ছড়াগুলো শুকিয়ে গিয়েছিল, আজও যা আগের অবস্থায় ফিরে আসেনি। তিনি লাউয়াছড়া বনে বিগত ২৫ বছরে কয়েক হাজার বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করেছেন। পাশাপাশি রোপন করেছেন প্রচুর পরিমাণ বৃক্ষ।

এ বিষয়ে স্থানীয় তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির মাধ্যমে জানান যায় যে, বিস্ফোরণের ২৫ বছরে পুড়ে যাওয়া এলাকায় নতুন করে গাছপালা গজালেও মাগুরছড়ায় কয়েকটি গাছের পোড়াচিহ্ন আজও কালের স্বাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি জানান যে, অক্সিডেন্টাল যতসামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে ইউনিকল নামে আরেকটি কোম্পানির কাছে ফিল্ড বিক্রি করে বাংলাদেশ থেকে চলে যায়। কিন্তু সু-চতুর অক্সিডেন্টাল ক্ষতিপূরণের জন্য পেট্রোবাংলার মাধ্যমে পাঁচশত পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করায়।

সেখানে উল্লেখ ছিল মাগুরছড়া বিস্ফোরণে পরিবেশ জীবযন্তু ও প্রতিবেশের ক্ষতি প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাশা-পাশি গ্যাস পুড়েছে ২৪৫.৮৬ বিলিয়ন ঘন ফুট। আর পানি সম্পদের ক্ষতি হয় আরও বিশাল। এই ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে অক্সিডেন্টাল তাদের বীমা কোম্পানীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ টিকই তুলে নেয়। কিন্তু মাগুরছড়ায় গ্যাস উত্তোলনের চুক্তি অনুযায়ী সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ তাদেরই দেয়ার কথা। স্থানীয় পর্যায়ে অল্প কিছু ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করে কৌশলে কেটে পড়ে তারা।

বিস্ফোরিত এ কূপটি ছিল মূলত পকেট কূপ। সাধারণত গ্যাস উত্তোলন করতে হয় প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মিটার নিচ থেকে। আর মাগুর ছড়া কূপের ১২০০ মিটার নিচে যেতেই গ্যাস পাওয়া যায় যা বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সে কূপ সিলগালা করে প্রায় ৩/৪শত মিটার দূরে মূল কূপ নির্ণয় করে বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। যেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০/৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মৌলভীবাজার গ্যাস ফিল্ডে সংযুক্ত হয়।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে জানাযায় যে, ১৯৯৭ইং সালে এ অগ্নিকাণ্ডে লাউয়াছড়া বনের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়। বনের অনেক বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যা টাকার অংকে কোনোদিন পূরণ করার সম্ভব নয়।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed