অনলাইন ডেস্ক নিউজ।।
কুলাউড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের যাত্রী নিহত
মৌলভীবাজারে কুলাউড়া উপজেলায় মন্দিরে পূজা করা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত সুরঞ্জিত বিশ্বাস (১৬) নামে আহত এক কিশোর।
বৃহস্পতিবার (৯ই জুন) সকালে হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে যান। বুধাবার সন্ধ্যার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যান।
নিহত সুরঞ্জিত বিশ্বাস উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের শ্রীপুর গ্রামের সুধাংশু বিশ্বাসের ছেলে।
এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা। ঘটনার সাথে জড়িত নান্টু বিশ্বাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে জানা যায় যে, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের শ্রীপুর এলাকায় কালি মন্দিরে শীতল পূজোর আয়োজন করেন স্থানীয় বাসিন্দা সুধাংশু বিশ্বাস, শ্যাম লাল বিশ্বাসসহ এলাকার প্রায় ১০/১২ জন সনাতন ধর্মের লোক। বিষয়টি মেনে নেননি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পঞ্চায়েতের লোকজন।
এর পর পূজো চলাকালীন সময়ে পঞ্চায়েত পক্ষের ওই এলাকার মৃত যদু বিশ্বাসের ছেলে নান্টু বিশ্বাস, মৃত রমেশ বিশ্বাসের ছেলে রসেন্দ্র বিশ্বাস, রসেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে রনজিত বিশ্বাসসহ প্রায় ১৬/১৭ জনের একটি দল পূজো বন্ধ করতে নির্দেশ দেয় তারা।
এ সময়ে সুধাংশু বিশ্বাসরা পূজো বন্ধ না করায় তাদের লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ ও হামলা চালায় পঞ্চায়েত পক্ষ লোকজন । এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সুরঞ্জিত, তার পিতা সুধাংশু, শ্যাম লাল বিশ্বাস, মিন্টু বিশ্বাসসহ প্রায় ৬ থেকে ৭ জন আহত হোন।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সুরঞ্জিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাঃ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে একদিন চিকিৎসার পর বুধবার সন্ধ্যার দিকে তার (সুরঞ্জিত) মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় কুমার ভূষন রায় বলেন যে, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলেন ১০জনের বিরুদ্ধে। এতে পুলিশের অভিযান ঘটনার সাথে জড়িত নান্টু বিশ্বাস নামে এক আসামি গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন।