স্বপ্ননীল সাহিত্যচর্চা পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আন্তর্জাতিক গুণি সংবর্ধনা
আনলাইন ডেস্ক নিউজ।।
ভারত বাংলা বর্ডার হাটের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন
আমাদের দেশে রান্নাবান্নার কাজে সয়াবিন তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আর এ সিংহভাগই আসে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। তীব্র খরার কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত ঘটায় তারা রপ্তানি বন্ধ করে দেই লাতিন আমেরিকার দু’দেশ। আর এর প্রভাব পড়েছে সাড়া বিশ্ববাজারসহ বাংলাদেশেও।
ভারতে বাংলাদেশি নায়িকাদের জনপ্রিয়তা বেশি
খরার প্রভাব কাটিয়ে উঠছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। তবে দু’দেশ থেকে সয়াবিন তেলের সরবরাহ যেমন বাড়ছে, তেমনি দামও কমতে শুরু করেছে।
তবে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের তথ্যমতে, লাতিন আমেরিকায় এপ্রিলের শেষের দিকের তুলনায় মে মাসে প্রায় নয় শতাংশ সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। এদিকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে সরবরাহ বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় করণে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে বলে জানানো হয়েছে। নিউইয়র্ক-ভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যে, ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানি বন্ধ হওয়ার দিন গত ২৮ শেএপ্রিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় সয়াবিন তেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। সেই সময় প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয়েছিল ১ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার এর বেশি। ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দিন উভয় দেশেই তেলের দাম প্রায় নয় শতাংশ কমতে দেখা যায়।
তবে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের প্ল্যাটস মূল্যায়ন অনুসারে, ২৩শে মে আর্জেন্টিনার এফওবি আপ রিভার এবং ব্রাজিলের এফওবি প্যারানাগুয়ায় প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ৭৪৫ দশমিক ৪০ ডলার, যা গত ২৮শে এপ্রিলের তুলনায় কমল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ৩ শতাশ।
তবে বলা হচ্ছে যে, দু’দেশই সয়াবিন তেলের দাম এভাবে কমে যাওয়ার পেছনে চীন ও ভারতের মতো প্রধান আমদানিকারকদের চাহিদাও কমে যাওয়া এক বড় ভূমিকা রয়েছে।
তবে এবিষয়ে ভারতীয় ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান সানভিন গ্রুপের কমোডিটি রিসার্চ হেড অনিল কুমার বাগানি বলেছেন যে, আর্জেন্টিনায় সয়াবিন উৎপাদন ভালোভাবেই এগোচ্ছে,
প্রক্রিয়াজাতকারকদের কাছে সরবরাহও বাড়ছে। তবে সেখান থেকে সয়াবিন তেল উৎপাদন আগের অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে।
এবিষয়ে আর্জেন্টিনার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম সয়াবিন তেল রপ্তানিকারক দেশটিতে গত এপ্রিল মাসে ৩৯ লাখ ২০ হাজার টন সয়াবিন ভাঙানো হয়েছে, যা আগের মাসের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি। এর ফলে একই সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে সয়াবিন তেল উৎপাদন ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৭ লাখ ৮১ হাজার ১২২ মেট্রিক টনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ব্রাজিলের তেলবীজ ক্রাশার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবিওভ) আশা করছে, ২০২২ইং সালে ১৮ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল রপ্তানি করবে দেশটি, যা গত বছরের তুলনায় নয় শতাংশ বেশি এবং ২০০৮ইং সালের পর সর্বোচ্চ।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দেশে এখনো প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ন্যূনতম ১৯৮ টাকা ও খোলা তেল ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবেশী ভারতে এরই মধ্যে কমানো হয়েছে ভোজ্যতেলের দাম।
তবে বাংলাদেশের সয়াবিন তেল আমদানির প্রধান উৎস ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। দু’দেশে দাম কমায় এবং ইন্দোনেশিয়া পাম তেলের উপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় বিশ্ববাজার তেলের দাম কমেছে। তাই দেশের বাজারেও শিগগিই এর দাম কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।