স্বামীকে হত্যা করে প্রেমিকের সঙ্গে একই ঘরে
আমিনুল ইসলাম (হিমেল)
বিশেষ প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দিনব্যাপী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর বোরোধানের জমিতে নতুন করে প্রাণ ফিরেছে। চলতি সপ্তাহে প্রচ- খরা ও পানির অভাবে এসব জমির ধান মরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পেরেছিল। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে বোরো চাষিদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস দেখা যাচ্ছে।
বোরো চাষিদের কাছ জানা যায়, এই সপ্তাহে বৃষ্টি না হলে আমাদের ফসল একবারে নষ্ট হয়ে যেতো। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে আপাতত সপ্তাহ খানেক ফসল মরার আর চিন্তা নেই। তবে অতি ভারী বৃষ্টি হলে যেসব গাছে ধানের শীষ বের হয়েছে এসব ধান নষ্ট হয়ে যাবে। দশ পনেরো দিনের মধ্যে সকল গাছে শীষ চলে আসবে বলে তাঁরা জানান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও বেশ কিছু এলাকায় তীব্র খরার কারণে পানির সংকট চিল। বৃষ্টি না হলে এসব এলাকার ধান গাছ পানির অভাবে মরে যেতো। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এর ফলে আপাতত ধান মরা থেকে রক্ষা পাবে। আরও দুই একদিন বৃষ্টি হলে বোরোধানের পানির সংকট অনেকটা দূর হবে।
সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি জমিতে আটকানোর জন্য খেতের চারিদিকের ফাকা রাস্তা বন্ধ করছেন অনেক কৃষক। আবার যাদের ধানে শীষ বের হয়েছে তাঁরা কিছুটা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন যদি শিলা বৃষ্টি হয় তাহলে ধানের শীষ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে সবকিছুর পরে বৃষ্টির পানি পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।
পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক বকুল আহমদ ও কাওছার মিয়া বলেন, আমি ৭ একর জমিতে এবার বোরো ধান চাষ করেছি। এর মাঝে কিছু জায়গায় ধানের শীষ বের হয়ে অতিরিক্ত খরায় কিছুটা নষ্ট হয়েছে। আজ বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের অনেক উপকার হয়েছে। তারা আরো বলেন, পানির অভাবে আমার কিছু জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যে টুকু জায়গা আছে বৃষ্টি না হলে এগুলোও নষ্ট হয়ে যেতো। বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের অনেক উপকার হয়েছে, আরও কিছু বৃষ্টি হলে ধানের জন্য ভালো হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে বোরো ধানের অনেক উপকার হয়েছে। যেসব জমিতে খরার কারণে জমি ফাটল দেখা দিয়েছে এসব জমির ধান বৃষ্টির কারণে বেঁচে থাকবে।