ভারতে বাংলাদেশি নায়িকাদের জনপ্রিয়তা বেশি
অনলাইন ডেস্ক নিউজ।।
কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা
রাজশাহীর জেলার বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে আবারও পৃথক দুইটি মার-ধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের দুজন। গতকাল সন্ধ্যায় ও আজ বুধবার সকালে উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে ও কিশোরপুর গ্রামে ঘটনাগুলো ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যজনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় আহত রতন আলী (২৫) তিনি উপজেলার কিশোরপুর গ্রামের একরাম আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের পক্ষে সম্মেলনে নিজের ভটভটিতে কর্মীদের পরিবহন করেছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকেরা এ জন্য তাঁকে মারধর করেছেন বলে রতনের বড় ভাই সুমন আলী অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন যে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনে রতন দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঘাগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আক্কাস আলীর ছোট ভাই আকুল হোসেন নারায়ণপুর বাজারে একটি সারের দোকানে বসে ছিলেন। তখন শাহরিয়ার আলমের সমর্থকেরা তাকে মারধর করেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আক্কাস আলীর ভাগনে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম বলেন যে, অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার ছোট মামা আকুলকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে।
গত সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকেরা মঞ্চের সামনে ‘আক্কাস ভাই, আক্কাস ভাই’ বলে স্লোগান দেন। তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সমর্থকেরা। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০০ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়।
এবিষয়ে মন্তব্য জানতে আক্কাস আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন যে, দুজনকে পৃথকভাবে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছেন। তবে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।