ভারতে বাংলাদেশি নায়িকাদের জনপ্রিয়তা বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদন।।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের দর্শণীয় স্থানগুলো
ভ্রমণ করতে পারবেন।
আগামী বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ট্যুরিস্ট বাস উদ্বোধনের কথা জানিয়ে মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নুসরাত লায়লা নীরা।
জেলা প্রশাসনে সুবিধার জন্য প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ট্যুরিস্ট বাস। এতে পর্যটকরা জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে এখন স্বাচ্ছন্দ্যে ও কম খরচের যাতায়াত করা যাবে। এধরনের উদ্যোগে দেশি ও বিদেশি ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে বেশ আনন্দের।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় যে, জেলার কুলাউড়া,কমলগঞ্জ,বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলে রয়েছে চা বাগান,প্রাকৃতিক ঝরনা মাধবকুন্ড জলপ্রপাত,জুড়ীর লাঠিটিলা,কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান,গগণটিলা পাহাড়,খাসিয়া পল্লী,হাকালুকি হাওর,মাধবপুর লেক,শ্রীমঙ্গলে সিতেশ রঞ্জন দেব এর চিড়িয়াখানা,বাইক্কা বিলসহ দর্শনীয় স্থান গুলো।
প্রতিদিন এসব প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে দেশি ও বিদেশি পর্যটকরা আসেন।কিন্তু দর্শণীয় স্থানে যাতায়াতের সঠিক ধারণা না থাকায় পর্যটকরা ২-৪টি দর্শনীয় স্থান দেখে ফিরে যান। আবার মাঝেমধ্যে পর্যটকরা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবে এখন কম সময় ও কম খরচে পর্যটন কেন্দ্র গুলো দর্শনের জন্য চালু হচ্ছে ট্যুরিস্ট বাস।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকেট কাউন্টারে কর্মরত কর্মচারিরা বলেন যে, ট্যুরিস্ট বাস চালু হলে এ জেলায় দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়বে। জেলা প্রশাসন ব্যতিক্রমী ও আকর্ষণীয় উদ্যোগ নিয়েছে। সহকারী কমিশনার নুসরাত লায়লা নীরা সাংবাদিকদের বলেন যে, আগামী বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ট্যুরিস্ট বাসেে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন যে, ৪০ সিটের দুটি বাস দিয়ে দুই প্যাকেজে এই সার্ভিস চালু হচ্ছে। প্রথম প্যাকেজের ট্যুরিস্ট বাস প্রতিদিন সকাল ৯টায় পর্যটক নিয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে যাত্রা শুরু করবে বড়লেখার উদ্দেশ্যে।পথে পর্যটন এলাকাগুলোতে বাস থেমে পর্যটকদের সেই সব এলাকা ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিবে। আর দ্বিতীয় প্যাকেজের বাস একই সময়ে বড়লেখা থেকে শ্রীমঙ্গলে যাত্রা শুরু করবে।
প্রতি যাত্রীর বাসভাড়া কত টাকা হবে,নাস্তা ও খাবারের ব্যবস্থা কি থাকবে সবকিছুই উদ্বোধনের পর বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে। সাথে থাকবে ট্যুর গাইড। যোগাযোগের জন্য দুটি মোবাইল নম্বর থাকবে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও এধরনের সুন্দর ও জনকল্যানমুখী চিন্তা ভাবনা সত্যি প্রশংসার দাবিদার বলে মনে করেন সচেতন মহল ও স্থানীয়রা।